সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছিল, আরও গতি আনতে হবে করোনাভাইরাস টিকার ক্ষেত্রে। বেশ কয়েকটি রাজ্যকেই সেই কথা বলা হয়েছিল। এখন গোটা দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবু টিকায় গতি বাড়ানোর নিদান দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বাড়ি–বাড়ি গিয়ে টিকা না নেওয়া মানুষদের খুঁজে বের করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। দ্বিতীয় ডোজ যাঁদের বকেয়া রয়েছে এবং শয্যাশায়ী ব্যক্তি, যাঁদের টিকা নেওয়া হয়নি, তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজ মিলিয়ে প্রায় ৭.৪ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। তারপরও টিকা প্রদানে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য। তাই বাড়ি–বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এই গতি আনতে স্বাস্থ্য কর্মী, আশা কর্মীদের উপর বেশি করে নির্ভর করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের সচিব সৌমিত্র মোহন একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বাড়ি–বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য–আশা কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে বলা হয়েছে।
এই দল বকেয়া টিকা দেওয়ার কাজ করবেন। এমনকী যাঁদের হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই তাঁদেরও বাড়ি গিয়ে টিকা দিয়ে আসবেন। অনেকেই এই ব্যবস্থাকে দুয়ারে টিকা বলে অভিহিত করছেন। তাই মানুষজনকে সরাসরি বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন ওই কর্মী। এই পরিষেবা কবে থেকে চালু হবে তার উল্লেখ করা হয়নি। তবে দ্রুত শুরু হবে বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, এই পরিষেবা কলকাতা থেকে শুরু হলেও প্রতিটি জেলাতেও চালু হবে। তবে জেলার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের গ্রাফ দেখে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেমন কলকাতার পর উত্তর ২৪ পরগণা। কারণ এই জেলা দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে ছিল। এভাবেই যে জেলায় যেমন প্রভাব পড়েছিল তেমনভাবেই দেওয়া হবে দুয়ারে টিকা পরিষেবা।