বিদেশে থাকাকালীনই সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জারি লুক আউট সার্কুলার প্রত্যাহার করলে ED-কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে বিদেশযাত্রার ১ সপ্তাহ আগে তাঁদের ইডিকে জানাতে হবে।
এদিন আদালতে অভিষেকের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী সমস্ত রকম তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তাঁরা এর আগে একাধিকবার বিদেশে গিয়েছেন। ফিরেও এসেছেন। ফলে তাদের বিদেশযাত্রা রোখার কোনও কারণ নেই। এর পর বিচারপতি ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও লুক আউট সার্কুলার জারি আছে কি? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, অভিষেকের জন্যও লুক আউট সার্কুলার রয়েছে। এর পর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কী করে বিদেশে গেলেন তিনি। ইডির তরফে জানানো হয়, অভিষেক চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে ইডির কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২৬ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর পর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কাউকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দিয়ে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি রাখার অর্থ কী? অবিলম্বে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জরি লুক আউট সার্কুলার প্রত্যাহার করুন। সেক্ষেত্রে বিদেশযাত্রার আগে অভিষেক ও রুজিরাকে ৭ দিন আগে ইডিকে জানাতে হবে। ইডি অনুমতি দিলে তবে বিদেশে যেতে পারবেন তাঁরা।
একই সঙ্গে এদিন ইডির তরফে আদালতে সওয়াল করে অভিষেককে দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি চাওয়া হয়। অন্তর্বতী নির্দেশে অভিষেক ও রুজিরাকে কলকাতায় ইডির দফতরে জেরা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ইডির সওয়ালে বলা হয়, কলকাতায় তাঁদের জেরা করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই দিল্লিতে জেরা করা দরকার। অভিষেক একজন সাংসদ। দিল্লিতে তাঁর বাসভবন রয়েছে। ফলে দিল্লিতে হাজিরা দিতে তাঁর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু ইডির আবেদন মঞ্জুর করেননি বিচারপতি। পূর্ববর্তী রায় মেনে অভিষেক ও রুজিরাকে কলকাতাতেই জেরা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বলে রাখি, গত ২৬ জুলাই কলকাতা থেকে সস্ত্রীক দুবাই গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি। দুবাই থেকে চোখের চিকিৎসা করাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা। বিদেশ সফরকালেই স্বস্তির খবর এল অভিষেকের জন্য।