২১শে জুলাই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন কলকাতার শহিদ মিনার মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভা শুনতে আসেন। তার মধ্য়ে অনেকেই কালীঘাটে মমতার বাড়ি দেখতে যান। আর খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। কে তিনি? কী তার পরিচয়? কেন তিনি এভাবে কালো গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মমতার বাড়ির কাছে?
সূত্রের খবর, তখন সকাল সাড়ে ১০টা। মমতার বাড়ির কাছে পুলিশ কিয়স্কের সামনে একটা কালো গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেই কালো গাড়ির সামনে লেখা ছিল,পুলিশ। এনিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা চ্যালেঞ্জ করেন। তারপরই ওই ব্যক্তি একটি আই কার্ড দেখান। সেটা আইবির কার্ড বলে দাবি করা হয়। তবে পুলিশ বুঝতে পারে আসলে ওই কার্ডটি ভুয়ো। এরপরই কালীঘাট থানার পুলিশ আটক করে ওই ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম শেখ নুর আমিন।
এরপরই ওই ব্যক্তিকে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। গাড়ির সামনের স্টিকারে লেখা ছিল শেখ নুর আমিন। সামনে পুলিশ লেখা স্টিকার। গাড়ির সামনে অশোক স্তম্ভও লেখা রয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে নানা ধরনের আইডি কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেই পরিচয়পত্রগুলি আদৌ আসল কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, মাদক দ্রব্য পাওয়া গিয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। পুলিশ টানা জেরা করছে ওই ব্যক্তিকে। একেবারে ধোপদুরস্ত পোশাক। বাইরে থেকে সন্দেহ করার মতো কিছু নেই। কিন্তু তার গাড়ি থেকে যেসব সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তা সন্দেহ করার মতোই। কিন্তু কেন তিনি এভাবে এলেন?
এদিকে আনন্দপুর এলাকার মার্টিনপাড়ায় ওই ব্যক্তি থাকতেন বলে খবর। সেখানে নুর ইন্টেরিয়র বলে একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নুরের ইন্টেরিয়রের ব্যাবসা রয়েছে বলেই তারা জানতেন। কিন্তু তিনি যে পুলিশের লোক সেটা তারা জানতেন না। তবে তাকে নিয়ে সেভাবে কোনও সন্দেহ করতেন না প্রতিবেশীরা।
নুরের স্ত্রী পুনম বিবি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন অ্য়াসোসিয়েশনের সদস্য। তিনি মমতার সভাতে যাবেন বলেছিলেন। তারপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করতে পারছি না।
এদিকে আনন্দপুরে তার বাড়ির সামনে একটি বাইকও দেখতে পাওয়া যায়। সেখানেও মানবাধিকার সংগঠনের ছাপ রয়েছে। তবে এর আগেও মমতার বাড়িতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঢুকেছিল বলে অভিযোগ।