তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের দিন সিবিআইয় দফতরে গিয়ে সারদাকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নথি ও প্রমাণ দিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু কাগজ নয়, সঙ্গে এমন সব ডিভাইস দিয়েছি যাতে অনেক প্রমাণ রয়েছে।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘নথি দিয়েছি। সঙ্গে অনেক ডিভাইস দিয়েছি। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদার অ্যাম্বুলান্স – মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছে তার নথি দিয়েছি। ডেলোর বৈঠকের কথোপকথন দিয়েছি। জেলে থাকা লোকেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধান সুবিধাভোগী বলেছিল, তাদের একাধিক প্রমাণ দিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর ও জাগো বাংলার কর্মীদের ডেকেছিল, তার তথ্য দিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারা বাংলা বলে একটা চ্যানেলকে পয়সা পাঠাতেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা টাকা দিয়েছেন। তার প্রমাণ দিয়েছি। শুধু নথি নয়, সঙ্গে একটি যন্ত্র তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। সিবিআইয়ের যে নতুন ডায়রেক্টর এসেছেন তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আশা করব নতুন কিছু হবে। ওনাদের নতুন অফিসারদের এখানে পাঠাচ্ছেন। আমরা চাই, তদন্ত গতি পাক। প্রধান সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করা হোক’।
তৃণমূলের আক্রমণের জবাবে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘১০ বছর পরে ওরা যদি জেলে থাকা সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুকে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী, বিমান বোসের বিরুদ্ধে লেখাতে পারে, তাহলে আমি ১০ বছর পর প্রমাণ পেশ করতে পারব না কেন? এক যাত্রায় তো পৃথক ফল হয় না। শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মুকুল রায়কেও আনতে হবে’।
শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ২৩০টা আসনে লড়েছিল। উপেন বিশ্বাস ছাড়া সমস্ত প্রার্থী ২০ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন। তিলজলায় তৃণমূল ভবনে বসে মুকুল রায় টাকা বিতরণ করেছিলেন। ও তো সুদীপ্ত সেনের টাকা। বারুইপুর থেকে বস্তা করে টাকা নিয়ে গিয়েছিল। এগুলো হারিয়ে যাওয়ার জিনিস না কি? এখনও অভিযুক্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর ফাইনাল চার্জশিট তো হয়নি। সুযোগ তো রয়েছে’।