সন্দেশখালিতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী।
এর আগে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তা বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। তারপর সরকারের পক্ষ থেকে সন্দেশখালির কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মামলার আবেদনে সেই প্রসঙ্গও এনেছেন শুভেন্দু।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলা শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবার বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করে দেয়। কিন্তু তারপরও তাঁকে সন্দেশখালিতে যেতে দেয়নি পুলিশ।
পডুন। 'ভিডিয়ো কলে কথা বলা মহিলাদের মারছে পুলিশ', সন্দেশখালি যেতে না পেরে রাজভবনে BJP
বৃহস্পতিবার ফের সেখানে যেতে চাইলে পথে রামপুরে পুলিশ ব্যারিকেড করে বাধা দেয়। বাস থেকে নেমে কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে শুভেন্দু এগোতে গেলেই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার একটি বিজেপির একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডি সন্দেশখালি যেতে চায়। রামপুর থেকেই কলকাতায় ফিরে এসে রাজভবনে যান অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির প্রতিনিধিরা। তারইমধ্যে সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা হরিয়ানার সিরসার সাংসদ সুনীতা দুগ্গল অভিযোগ করেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি যে (আমাদের সঙ্গে যে মহিলারা কথা বলেছেন, তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ)। এরকম প্রতিটি ঘটনার রিপোর্ট আমরা মহামহিমকে দেব। আমরা শুনতে পেলাম, যে মহিলারা ভিডিয়ো কলে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের এখন মারধর করছে পুলিশ।' যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও সন্দেশখালি যেতে চায়। আটকে দেওয়া হয় কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকেও।
গত মামলার রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ফের আদালতে আবেদন করেছেন শুভেন্দু। এবার শুধু ১৪৪ ধারা নয় তারও যাওয়ার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শনিবার মামলাটির শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কার আবেদন জানিয়েও একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।