সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে রাজ্যের বয়ানেও এবার বিভ্রান্তিতে আদালত। মঙ্গলবার শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের তরফে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সওয়াল করে বলা হয়, সুপার নিউমেরারি পদ সৃষ্টির সঙ্গে চাকরি থেকে বরখাস্তদের পুনর্নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। একথা রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।
এদিন আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ রয়েছে যার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলার যোগ নেই। এই পদগুলিতে সুপার নিউমেরারি পদগুলিতে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার ওয়েটিং লিস্টে থাকা নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। আদালত যেন তাতে মঞ্জুরি দেয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ইডি, বড়ঞার অনুপ্রেরণায় কৈখালির বহুতল থেকে মোবাইল ছুড়লেন শেয়ার ব্যবসায়ী
এর পর মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে সুপার নিউমেরারি পদে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতদের পুনর্নিয়োগ করতে চায়। সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চকেও একই কথা জানায় তারা। পরে সিঙ্গল বেঞ্চে বক্তব্য প্রত্যাহার করে SSC.’ বিকাশবাবু বলেন, এই ভাবে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি হারানোদের চাকরিতে বহাল করার চেষ্টা করছে রাজ্য। যা আদালতের নির্দেশের পরিপন্থী। যদিও তা খণ্ডন করেন SSCর আইনজীবী সুতনু পাত্র।
আরও পড়ুন: পাস ছাড়াই বিধানসভায় ঢুকে পড়ল রাহুল সিনহার গাড়ি, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
এর পর বিচারপতি বসু প্রশ্ন তোলেন, এভাবে কি সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির অধিকার রাজ্য সরকারের রয়েছে? আর পদ তৈরি করা গেলেও কারা তাতে নিয়োগের জন্য বৈধ তা নির্ধারণের বিধি কী? আদালতও নিয়োগ চায়। কিন্তু তার আগে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে এই ১৬০০ পদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মামলার কোনও যোগ নেই।
বলে রাখি, সম্প্রতি শারীরশিক্ষা - কর্মশিক্ষার প্রার্থীদের সঙ্গে তৃণমূলের এক মুখপাত্রের বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনি জটিলতা মিটিয়ে তাঁদের দ্রুত নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন ওই তৃণমূল নেতা।