কয়েক মাস আগেই বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন পুকুরে ফোন ফেলা হয়েছিল। যেন সেই ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েই কৈখালিতে বহুতল থেকে পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়ে ফেললেন এক শেয়ার ব্যবসায়ী। সেই সময় তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য ছুড়ে ফেলা দু'টি ফোনই উদ্ধার করে ইডি। (আরও পড়ুন: 'আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে' বলে চিঠি এসেছে? উদ্বেগ ও জল্পনার মাঝে বার্তা দিল UIDAI)
আরও পড়ুন: সরস্বতীপুজোর আগে কতটা সদয় লক্ষ্মীদেবী? মঙ্গলের কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে সোনা
উল্লেখ্য, আজ রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। এরই মধ্যে তদন্তকারীরা পৌঁছে যান হানিস তসরিওয়ালের বাড়িতে। কৈখালির এক বহুতল আবাসনে হানিসের বাড়িতে যখন ইডি আধিকারিকরা ঢোকেন, তখন ৭ তলা থেকে নিজের ফোন দু'টি নীচে ছুড়ে ফেলে দেন হানিস। সেই ফোন পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে। সেই দু'টি মোবাইলের একটির ব্যাক-কভারে নাকি আবার ৫০০ টাকার একটি নোটও রাখা ছিল। এই মোবাইল ফোনে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর তাই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ফোনগুলি ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান করছে ইডি। তবে ফোন দু'টি বাজেয়াপ্ত করে সেগুলির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি। (আরও পড়ুন: নির্মলার শ্বেতপত্রে আদর্শ দুর্নীতি, সেই মামলায় গদি খোয়ানো অশোককেই দলে নেবে BJP?)
আরও পড়ুন: '...ভালো করে একটা ড্রাফট করতে পারে না', সরকারি কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
এদিকে আজ রেশন দুর্নীতির তদন্তে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি ঠিকানাতেও পৌঁছে যায় ইডি। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছেছে। বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ী সেই ঠিকানায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও আজ সকালে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রেশন দুর্নীতি মামলাতেই সেই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রেশন দুর্নীতির টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে। আগে নাকি মধ্যমগ্রাম বসুনগরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরে ২০১৩ সালে প্লট কিনে সল্টলেকে চলে আসেন এই বিশ্বজিৎ। এই ব্যবসায়ীর আরও দু'টি ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও আজ পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, এলাকার আরও বেশ কিছু জায়গায় আজ তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করে ইডি। ইডির প্রতিটি দলের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আজ নিউ আলিপুরের ৩৯৭ জি ব্লকের ঠিকানাতেও হানা দেয় ইডি। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই বাড়িতে থাকেন সুনীল কায়ান। দাবি করা হয়েছে, সুনীলের বাড়িতে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সুনীলের সংস্থা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।