স্কুল পড়ুয়াদের নামিয়ে দিয়ে বাস তালা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন চালক। খেয়াল করেননি স্কুলবাসে এক পড়ুয়া তখনও ঘুমিয়ে আছে। তাকে ভিতরে রেখেই তালা বন্ধ করে দেন চালক। ঘুম ভাঙতেই ওই পরিস্থিতি দেখে কাঁদতে শুরু করে একরত্তি পড়ুয়াটি। কান্না শুনে দুই ট্রাফিক সার্জেন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
অন্যান্য দিনের মতো ইকবালপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের রাস্তা সামলাচ্ছিলেন দুই ট্রাফিক সার্জেন অরিত্র মুখোপাধ্যায় ও পলাশ হালদার। হঠাৎ স্কুলের দিক থেকে তাঁরা শুনতে পান কান্নার আওয়াজ। তাঁরা দৌড়ে যান স্কুলের গেটের কাছে। তাঁরা বুঝতে পারেন গেটের সামনে দাঁড় করানো কোনও একটি স্কুল বাস থেকেই আসছে আওয়াজ। তাঁরা চিহ্নিত করেন বাসটিকে। সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখতে পান একটি স্কুল বাসের মধ্যে আটকে রয়েছে এক স্কুল ছাত্রী।
প্রথমে দুই সার্জেন চালকের খোঁজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে দেখতে না পেয়ে নিজেরা বাসের দারজা ভেঙে উদ্ধার করেন আটকে থাকা খুদে ছাত্রীটিকে। তাকে উদ্ধার করে স্কুলে খবর দেন ওই দুই ট্রাফিক সার্জেন। খবর দেওয়া হয় শিশুটির বাড়িতেও।
আরও পড়ুন। রাতে বাড়তি পানীয় জল সরবরাহ করছে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা, গরমে খুশি আমজনতা
চালকের কাণ্ডে হতবাক ছাত্রীর পরিবার
স্কুল থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ছাত্রীটির পরিবার ছুটে আসে। এই ঘটনায় তাঁরা হতবাক। পরিবারের এক সদস্য বলেন, 'অন্য দিন বাসে একজন হেল্পার থাকেন। আজ তিনি ছিলেন না। তার জায়গায় গাড়ির মালিক হেল্পারি করছিলেন। আমরা খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে পৌঁছই। এই ধরনের ঘটনা যে ঘটতে পারে তা আমরা ভাবতে পারছি না।'
কী বলছেন বাসের মালিক
এই ঘটনার পর বাসের মালিক এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শিশুটি যে ঘুমিয়ে পড়েছিল তা আমি দেখিনি। গত ২৫ বছর ধরে এই করছি। কখনও এই ধরনের ঘটনা হয়নি। এক আধটা ভুল হতেই পারে। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন। ফের আগুন হতে পারে পেঁয়াজের দাম, ধাক্কা খেতে পারে চাষও, কারণটা কী?
কী বলছে স্কুল?
এই ঘটনার পর স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল বলেন, 'এই ঘটনায় বাস মালিকের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কী কারণে এমনটা হল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব এলে তা খতিয়ে দেখে বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।' স্কুলের তরফ থেকেও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন। দশম শ্রেণিতেই এবার AI নিয়ে কোর্স করাবে স্কুল, বাংলার শিক্ষাব্যবস্থায় 'বিপ্লব'