ভবানীপুরে উপনির্বাচন করার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিকে এনিয়ে তখন খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী এক আইনজীবী এনিয়ে মামলাও করেছিলেন হাইকোর্টে। এদিকে মুখ্যসচিবের চিঠি দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে। হাইকোর্টে কার্যত কিছুটা ধাক্কা খায় রাজ্য। তবে কমিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেই দ্রুত উপনির্বাচন করা হচ্ছে। এরপর এদিন রেকর্ড ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পরই মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জয়লাভ করবেন এনিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। তাঁর যা জনপ্রিয়তা তা শুধু বাংলা কেন, গোটা ভারতে কারোর নেই। তিনি বিধানসভার সদস্য না থাকায় অনেকেই অনেক কথা বলছিলেন। সংবিধান মেনেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে আজ সব বিরোধের অবসান হয়েছে।’ কথায় কথায় মুখ্যসচিবের সেই চিঠির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্য়সচিবের ভূমিকা নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন তাঁদেরও জানা উচিত মুখ্যসচিবের আবেদনে কোনও ভুল ছিল না। তিনি কেবল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রচার পেতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভবানীপুরের ফলাফলই তার উদাহরণ।’ জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা ভালো এই দিনটার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিল গোটা তৃণমূল দলটাই।