কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে গত কয়েকমাস ধরে। ভক্তরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কবে সংস্কারের পরে নতুন করে পূর্ণ রূপ পাবে এই মন্দিরের। আর শনিবার যে ছবি দেখা গেল তা যেন একবার দেখে বিশ্বাস করা যায় না। বার বার দেখেও মন ভরে না। কালীঘাট মন্দিরের উপর সোনার চূড়া। সূর্যের প্রখর রোদ। আর তাতে একেবারে ঝলমল করছে সেই চূড়া। মায়ের মন্দিরের এই রূপ দেখে আপ্লুত ভক্তরা।
এই কালীঘাট মন্দিরের একেবারে জগৎজোড়া খ্য়াতি। কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট দেখবেন না এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। আর এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে। পয়লা বৈশাখের আগেই দেখা গেল সেই সোনার চূড়া।
২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। সেই সোনার চূড়া একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। ধীরে ধীরে নতুন রূপে সেজে উঠছে সেই প্রাচীন মন্দির।
রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে। মন্দিরের অন্দরসজ্জার জন্য় সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। সেই অর্থেই এই সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর নির্বাচনের জেরে এই চূড়া উদ্বোধনকে ঘিরে বড় কর্মসূচি নেওয়া যায়নি। তবে পয়লা বৈশাখে মুখ্য়মন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে আসতে পারেন। সেদিন ছোটও কোনও অনুষ্ঠান হলেও হতে পারে।
এর আগে ৫১ সতীপীঠের মধ্য়ে কামাখ্যা মন্দিরের চূড়া সোনা দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল। এবার কালীঘাট মন্দিরেও সোনার চূড়া। কালীঘাট মন্দিরের মাথায় তিনটি তিনকোনা চূড়ো। তিনটি স্তম্ভ রয়েছে তিন চূড়াতে। এতদিন এগুলি মূলত মাটির ছিল। এবার সেগুলি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হল। মাঝের স্তম্ভে একটি পতাকার আকৃতি রয়েছে। এবার প্রশ্ন কত কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে ওই চূড়ায়?
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ৫০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে এই চূড়া তৈরির জন্য। এদিকে সংস্কারের কাজও অনেকটাই হয়েছে। সেই সঙ্গেই মন্দিরের অন্য়ান্য কাজও হচ্ছে। তবে মন্দিরের মূল কাঠামোতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ এই মন্দিরের প্রাচীনত্বকে অক্ষুন্ন রেখেই যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। একেবারে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।