সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার যুৎসই জবাব দিতে পারেননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তার মধ্যেই এবার শ্বশুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একটি চিরকুট প্রকাশ্যে নিয়ে এসে সুজন চক্রবর্তীকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। সুতরাং চিরকূটে চাকরি নিয়ে আবার সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। এমনকী টুইট করে নথি সামনে এনেছেন কুণাল।
ঠিক কী অভিযোগ কুণালের? সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুরমশাই শান্তিময় ভট্টাচার্য। একসময় সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক ছিলেন শান্তিময় ভট্টাচার্য। তবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক টুইট করেন। সেখানে কুণালের বক্তব্য, ‘শান্তিময় ভট্টাচার্য দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। ওঁর আসল নাম দেবব্রত ভট্টাচার্য। হিন্দু মহাসভার কর্মী ছিলেন। একটি জটিলতা থেকে নামবদল করেন। আদালতে গিয়ে নামবদল হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হন। শান্তিময় ভট্টাচার্য নামে কোনও সার্টিফিকেট নেই। তিনি কী করে সরকারি পদে বসেছিলেন?’ এই নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও চাপ বাড়ল সিপিএমের।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘সুজন চক্রবর্তীরা কমিশন বসিয়েছিলেন। যার জন্য খরচ হয়েছে ৩১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিট ফল শূন্য। আর এখন ওঁরা বড় বড় কথা বলছেন। আমাদের জেলায় ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাহলেই সব প্রকাশ্যে চলে আসবে। আসলে চোরের মায়ের বড় গলা। এক একজন সিপিএম নেতার পরিবারের কতজন করে সরকারি চাকরি পেয়েছেন, তা দেখা হচ্ছে। লালপার্টি যদি ভাবে এভাবে জল ঘোলা করে এখনই রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসবে, তাহলে হলফ করে বলছি, ক্ষমতায় ফিরতে ওদের ২০৫৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
আর কী বলেছেন কুণাল? একদিন আগেই শতরূপ ঘোষের নির্বাচনী হলফনামা সামনে এনেছেন। আর ২২ লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সর্বহারা দলের নেতার এমন বিলাসবহুল জীবন নিয়ে খোঁচা দেন কুণাল ঘোষ। যার জন্য শতরূপকে দৌড়ে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে হয়েছে আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে। এবার তিনি বলেন, ‘তদন্ত হোক যে, শংসাপত্র কোথায়। শান্তিময় ভট্টাচার্যের অস্তিত্ব কোথায়? এটা একটা মস্ত বড় কেলেঙ্কারি। এই সব মারাত্মক অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের একাংশই আমাদের দিয়েছে। আমরা শিক্ষা দফতরকে পাঠিয়েছি।’