Tripura TMC: ত্রিপুরা নির্বাচনে ‘একলা লড়াই’ TMC-র, প্রতি আসনে জোড়া নাম এল প্রার্থী তালিকায়

প্রাথমিক ভাবে যে প্রার্থী তালিকা হাতে এসেছে তাতে সব আসনেই ২ টি করে নাম রয়েছে। অর্থাৎ ৬০ টি আসনের জন্য ১২০টি নাম জমা পড়েছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে একটি বৈঠক হয় ত্রিপুরা নিয়ে । (টুইটার)

ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতিতে লড়াইয়ের কৌশল নিল তৃণমূল। রাজ্যের ৬০টি আসনের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিচ্ছে তারা। শুক্রবার এ নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এই একলা চলো নীতিতে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এখানে উল্লেখযোগ্য হল, প্রাথমিক ভাবে যে প্রার্থী তালিকা হাতে এসেছে তাতে সব আসনেই ২ টি করে নাম রয়েছে। অর্থাৎ ৬০ টি আসনের জন্য ১২০টি নাম জমা পড়েছে। এই নিয়ে আলোচনা করে দিন-দুয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জানিয়ে দেওয়া হবে বৈঠকে জানানো হয়েছে। 

এ দিন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রতিটি আসন ধরে ধরে। তৃণমূল বরাবর একলা চলো নীতিতে বিশ্বাস করে। ত্রিপুরায় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একলা চলো নীতিতেই লড়াই হবে।’ 

সে রাজ্য গত পুরোভোটে ২৪  শতাংশ ভোট পেলে বিধানসভা উপনির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল। তবে বিধানসভা সভা নির্বাচনে ফল একেবারে অন্য রকম হবে দাবি রাজীবের। তার কথায় তৃণমূলকে একেবারে নতুন ভাবে ওখানে দেখতে পাওয়া যাবে। 

আগমী ১৬ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্য ভোট। ভোটের আগে প্রচারে যাবেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কোনও জোট করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনার রাস্তা খোলা রাখছে ত্রিপুরা তৃণমূল। 

অভিষেকের অফিসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস ও ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। সে রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়বে বামেরা। এই জোট প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জোটের ফল কী হয়েছে আগে দেখা গিয়েছে। যে জায়গায় উপনির্বাচন হয়েছিল, সেখানে বাম নয়তো কংগ্রেসের গড় ছিল’। রাজ্য সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০১২ সালে বাংলায় বাম ও কংগ্রেস জানত যে তারা শূন্য পাবে। তবু তারা জোট করছিল। আসলে তা বিজেপিকে সাহায্য করতে। এখন ত্রিপুরাতে ওদের আঁতাত হয়েছে।’ এর সঙ্গে সুস্মিতা দেবের সংযোজন, ‘২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামেদের ভোট চলে যায় বিজেপি। এখন বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। যাঁরা বিজেপিকে চায় না তাঁরা বামেদের দিকে যাবে না। ’