মা হীরাবেন মোদী প্রয়াত হয়েছেন। শুক্রবার মায়ের শেষ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে এদিনই বাংলায় বন্দে ভারতের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে তিনি এই অনুষ্ঠান বাতিল করেননি। মাতৃবিয়োগের শোককে বুকে চেপেই সরকারি পূর্ব নির্ধারিত কর্তব্য় পালনে অংশ নেন তিনি। সশরীরে অংশ নিতে না পারায় ক্ষমাও চান তিনি। নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চেই উঠতে চাননি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনেই তিনি মঞ্চে উঠতে চাননি বলে খবর। এবার সেই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে কড়া টুইট করলেন বিজেপির আইটি সেলের ইন চার্জ অমিত মালব্য়।
তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দিনেই তাঁর ব্যক্তিগত দুঃখের দিন সত্ত্বেও বন্দে ভারতের সূচনা করেছেন। রাজ্য়ের ৭৮০০ কোটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি। আর বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কল্য়াণের তুলনায় ঠুনকো ইগোকে তিনি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
অমিত মালব্যের টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে এক নেট নাগরিক লিখেছেন মমতার ইগো ফুটবলের থেকেই বেশি।
এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন হাওড়া স্টেশনে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক প্রমুখ। এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী ট্রেনের সামনের দিকে যেতেই উলটো দিকের প্লাটফরম থেকে আচমকাই শুরু হয় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। কিছুক্ষণের মধ্য়ে তাল কাটে অনুষ্ঠানের। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত চলে আসেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। এদিকে ততক্ষণে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মুখ্য়মন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও তাঁদের থামতে অনুরোধ জানান। এদিকে এরপর রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যাতে তিনি মঞ্চের উপরে ওঠেন। কিন্তু তারপরেও মঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে চেয়ারে বসে থেকেই তিনি বক্তব্য় রাখেন।
অনেকেই বলছেন এদিন বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুটো ঘটনাই কার্যত নজিরবিহীন। একদিকে মায়ের শেষযাত্রায় অংশ নিয়েই সরকারি অনুষ্ঠানে মোদীর অংশ নেওয়া । অন্য়দিকে বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের সূচনায় মুখ্য়মন্ত্রীর মঞ্চে না ওঠা।
এনিয়ে ইতিমধ্য়েই দেশজুড়েই চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জয় শ্রীরাম নয়। আসলে তিনি আমার সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না। এজন্যই তিনি ওঠেননি।