গো–সুরক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই অসম আইন নিয়ে আসতে চলেছে। উদ্দেশ্য, গরু পাচার বন্ধ করা রাজ্যে। তবে এই আইন যদি কার্যকর হয় তাহলে গো–হত্যা বন্ধ হবে বলে মনে করছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটা খসড়া বিল তৈরি করা হয়েছে। যা সর্বসম্মতিক্রমে বিধানসভায় পাশ হলেই আইনে পরিণত হবে। সেই খসড়া বিলে বলা হয়েছে, হিন্দু মন্দিরের পাঁচ কিমির মধ্যে গো–মাংস বিক্রি করা যাবে না।
এখানেই শেষ নয়, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতেও একই ফরমান জারি থাকবে। এই বিল এখনও আইনে পরিণত হয়নি। তার আগেই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলাতেও এই আইন নিয়ে এসে তা কার্যকর করা উচিত।’ ব্যস, শোরগোল পনে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
এই বিষয়ে তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অসমের প্রতিবেশী বাংলাদেশে শুয়োরের মাংস নিয়ে কোনও কিছু করা গোটা দেশেই বারণ। সে তুলনায় গোমাংস সম্বন্ধে হিমন্ত বিশ্বশর্মার আনা বিল খুবই সময়োচিত ও মৃদু। একটা কাটা গরু ঝুলছে, চর্বিগুলো হলুদ হয়ে গেছে, এই দৃশ্য যে কোনও হিন্দুরই বিবমিষা উদ্রেক করে। পশ্চিমবঙ্গেও এরকম আইন হওয়া উচিত।’ এই টুইটের মধ্য দিয়ে তিনি ফের বিভাজনের রাজনীতি করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।