এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অ্যাকশনের বিরুদ্ধে রিঅ্যাকশন দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন। এটা ছিল রাজ্যপালের অ্যাকশন মুড। শিক্ষা দফতর ওই সরিয়ে দেওয়া উপাচার্যদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে বহাল করল। এটা শিক্ষা দফতরের রিঅ্যাকশন মুড। বোসের বিরুদ্ধে ফোঁস করে এভাবেই পাল্টা দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে মানহানির নোটিশ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র। সব মিলিয়ে তোলপাড় শিক্ষামহল।
কেমন ফোঁস করল শিক্ষা দফতর? রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এখন আদায়– কাঁচকলায় সম্পর্ক রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। রাজ্যপাল নিঃশব্দে ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন। আর পাল্টা দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল। পাল্টা তাঁকেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পাঠিয়ে ফোঁস করার প্রমাণ দিল শিক্ষা দফতর বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পাঠানো হয়েছে আশুতোষ ঘোষকে। আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পাঠানো হয়েছে মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সব মিলিয়ে খেলা জমে উঠেছে।
অন্যদিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকাউট, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর সবটাই শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে। এই নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর আদালত রাজ্যপালের নিয়োগকে বৈধ বলেছে। এমনকী উপাচার্যদের বন্ধ করা বেতন চালু করতে এবং বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর থেকে আরও আগ্রাসী হয়ে পড়েছেন রাজ্যপাল। সদ্য তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা সিবিআইয়ের মামলায় বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে তিনি যে সক্রিয় সেটার বারবার প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন: আজ মণিপুরে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, বিরোধী বৈঠকের পরই ছুঁড়ল চ্যালেঞ্জ
কিন্তু শিক্ষা দফতরও রাজ্যপালকে এক কিঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। শিক্ষা দফতরকে আড়াল করে উপাচার্য নিয়োগ মেনে নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী আগেই নানা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এবার আর প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টি থেমে নেই। এবার সরাসরি ফোঁস করে উঠে পাল্টা রিঅ্যাকশন করছে শিক্ষা দফতর। তাতে রাজ্যপালও খানিকটা অবাক হচ্ছেন। এমনটা হবে তিনি ভাবতে পারেননি। রাজ্যপাল তাঁর পছন্দের উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন। আর তাঁর অপছন্দের উপাচার্যদের শিক্ষা দফতরের পছন্দ বলে কর্মসমিতিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আবার শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।