বাংলার জন্য লগ্নি টানতে গিয়েছিলেন স্পেন ও দুবাই। তারপর সেখানের সফর সেরে ফিরেছেন বঙ্গে। তবে পায়ের চোট নিয়ে বাড়িতেই বিশ্রামে কাটিয়েছেন তিনি। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছেন ভার্চুয়ালি। তবে আগামী ২৭ অক্টোবর তিনি থাকবেন রাস্তায়। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর কার্নিভালে। হ্যাঁ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল রাস্তায় বেরোবেন। আবার নভেম্বর মাস পড়লেই করবেন বিজয়া সম্মিলনী। যেখানে থাকবেন দেশের ও রাজ্যের তামাম শিল্পপতিরা।
রাজ্যে বিনিয়োগ টানতেই আগামী নভেম্বর মাসে বসতে চলেছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন। আগামী ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর তারিখে (বিজিবিএস) আসর বসবে বাংলায়। তাই আগামী নভেম্বর মাসের প্রথমে রাজ্যের শিল্পপতিদের নিয়ে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সম্মেলনেই আলোচনা হবে বাংলার শিল্প বিনিয়োগ নিয়ে। তারপর সেখানে শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে দুর্গোপুজোর পর শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে থাকবে বিশেষ নৈশভোজের ব্যবস্থা বলে খবর।
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে বিজয়া সম্মেলনী আয়োজনের করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার বিজয়া সম্মেলনীর স্থান বদল হতে পারে। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হতো নিউটাউনের ইকোপার্কে। সেখান থেকে এবার সরে এসে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে আলিপুর মিউজিয়ামে। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলকে বারুইপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর সেখানে সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। এই সংগ্রহশালা তাঁর কালীঘাটের বাসভবনের কাছে। এখন ছোট ছোট সফর দিয়েই এগোতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ের চোটের কারণেই এখানে বিজয়া সম্মিলনী বলে মনে করা হচ্ছে। তাই শুরু হয়েছে তৎপরতা।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অধ্যাপকরা
অন্যদিকে এখানে এখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নানা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে এখানে নিয়ে আসা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য বিধানসভার বিধায়কদেরও এই সংগ্রহশালা দেখানো হয়েছিল। এবার রাজ্যের শিল্পপতিদের এই সংগ্রহশালা দেখানো হবে। আবার বিজয় সম্মেলনীও করা যাবে। তাই এখানে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিশ্ববঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলনের আগে এই বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখান থেকেই শিল্পের বাকি হিসেবনিকেশ হয়ে যাবে। রাজ্যে এখন শিক্ষিত ছেলে–মেয়েদের চাকরি দরকার। যার জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার জন্যই ছুটেছিলেন স্পেন ও দুবাইতে।