স্পিড পোস্টে চিঠি কি এসেছিল সুজিত বসুর কাছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ গতকাল সিবিআই রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল। তখন নাম প্রকাশ্যে আসেনি। শুধু এতটুকু জানা গিয়েছিল, ওই মন্ত্রীকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর আজ, বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে সিবিআই তলব করেছে। এই নিয়ে এখন ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ সুজিত বসু রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের মধ্যে একজন। আর মমতা–অভিষেকের ঘনিষ্ঠ।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ থেকে কলকাতায় ফিরতেই ইডি–সিবিআইয়ের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। এই নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর থেকে সোনারপুর তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি। এমনকী প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সঙ্গে সাংসদ হওয়ার আগে যুক্ত ছিলেন অভিষেক বলে উল্লেখ করা হয়। আর আজ প্রকাশ্যে এল যে, আগামী ৩১ অগস্ট সুজিত বসুকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ডাক পাঠানো হল বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
অন্যদিকে সম্প্রতি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। নানা নথি হাতে আসায় সেগুলি নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। আর তেমন একটি নথির সূত্রেই সুজিত বসুর নাম তাঁদের হাতে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আর তাই সংশ্লিষ্ট নথির সূত্রেই সুজিত বসুকে তলব করা হয়েছে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু। তখন পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তবে সেই নথি এখন কতটা প্রাসঙ্গিক তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তবে আগামী ৩১ অগস্ট দমকলমন্ত্রীকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে সব জানার জন্যই।
আরও পড়ুন: জীবন বিমার আওতায় আসতে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিকরা, রাজ্য সরকারের নয়া ভাবনা
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অয়ন শীলের অফিস ছিল সল্টলেকে। সেখান থেকে একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। অয়ন শীল ইডির জেরায় জানিয়েছেন, একাধিক পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেবে বলে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু এখানে সুজিত বসু কেমনভাবে জড়িত? সেটা এখনও কিছু জানায়নি সিবিআই। পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।