রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশির বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এদিন তিনি বলেন, কয়লা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি হলে মুখ্যমন্ত্রী এত কান্নাকাটি করেন কেন? তাঁর তো রাজস্ব মার যাচ্ছে না। তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।
শনিবার সকালে কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরের বৈশাখি এলাকায় এক চা চক্রে হাজির ছিলেন সায়ন্তনবাবু। সেখানেই একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
এদিন সায়ন্তন বলেন, ‘গরুপাচারকারী, কয়লাপাচারকারীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালালে মুখ্যমন্ত্রী কান্নাকাটি করেন, ত্রাহি ত্রাহি রব করেন কেন? সম্পর্কটা কোথায়? (পাচারকারীদের জন্য) উনি তো রাজস্ব পাচ্ছেন না। ওদের ওখানে তল্লাশি হলে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন করা উচিত। তার মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
সায়ন্তনের দাবি, ‘আমার মনে হয় মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সিবিআই ও আয়কর বিভাগকে সাহায্য করা’।
এদিন রাজ্যে ভোটার লিস্টে তৃণমূল কারচুপি করছে বলে দাবি করেন সায়ন্তন। বলেন, ‘ভোটার লিস্টে তৃণমূল যে গরমিল করেছে তা নজরে এসেছে। শুধু আমার নয়, সেটা অনেকেরই নজরে এসেছে। সেটা যাতে সংশোধন করা যায় ভুয়ো ভোটারের নাম যাতে বাদ দেওয়া যায় সেজন্য আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। ভোটার লিস্টের স্ক্রুটিনির কাজ করবেন।’
বলে রাখি, শুক্রবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকে কটাক্ষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘লালাজির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী সম্পর্ক তা প্রকাশ্যে আনতে হবে।’ বৃহস্পতিবার অমিত শাহের রাজ্য সফরের প্রথম দিনে কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক সভায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশির সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য পুলিশকে না জানিয়েই তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।