রেললাইনে বসে পাবজি খেলতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল যুবকের। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল যুবকের। মৃত যুবকের নাম পুষ্পেন্দু তরতরি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নেই পাতিপুকুর এলাকা। যুবকের মৃত্যুর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি, জ্বলল টায়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাতিপুকুর রেললাইনে বসে ইদানিং মদ্যপানের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। সেই খবর পেয়ে রেললাইনে হানা দেয় লেকটাউন থানার পুলিশ। সেই সময় পাতিপুকুর রেললাইনে বসে মোবাইলে পাবজি গেম খেলছিলাম পুষ্পেন্দু-সহ কয়েকজন যুবক। আচমকাই সিভিল ড্রেসে দু'জন পুলিশ এসে পুষ্পেন্দু-সহ কয়েকজন যুবককে ধরে জরিমানা চাইতে থাকে। পুষ্পেন্দু তা দিতে অস্বীকার করে কোনওভাবে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে রেললাইন ধরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনাক্রমে তখনই একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। প্রত্যদর্শীদের বক্তব্য, ‘পুষ্পেন্দু মোবাইলে গেম খেলছিল। তা সত্ত্বেও তাকে ধরে জরিমানা চেয়েছিল পুলিশ।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘রেললাইন রেল পুলিশের অধীনে। তারপরে কেন সেখানে লেকটাউন থানার পুলিশ জরিমানা চাইল।’ তাদের অভিযোগ, ‘পুলিশ তাড়া করেছিল বলেই পুষ্পেন্দুর এই পরিণতি হল। না হলে তাকে মরতে হত না।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছান। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।