গভীর রাতে জঙ্গলে প্রবেশ করে বনরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা বছর বিয়াল্লিশের বিমল রাভা। ঘটনার জেরে বন দফতরের বিট অফিস ও দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালাল গ্রামবাসী।
নিহতে পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক রোগগ্রস্ত ছিলেন। বন দফতরের পালটা অভিযোগ, বেআইনি কাঠ পাচারের উদ্দেশেই দলবল নিয়ে রাতে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন বিমল।
নিহত বিমল রাভার স্ত্রী অনিতা রাভা টেটের অভিযোগ, ‘সোমবার সকালে আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যার খবর পাই। তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে হত্যা করার পরে বন দফতর এখন কাঠ পাচারকারী হিসেবে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’ ঘটনায় কালচিনি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিতা।
মেন্দাবাড়ি গ্রামসভার সভাপতি পবিত্র রাভা জানিয়েছেন, ‘কোদাল বস্তি গ্রামের বাসিন্দা বিমল তিন সন্তানের বাবা এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় নিজের গরু-মোষ খুঁজতে গিয়ে তিনি জলদাপাড় জঙ্গলের নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়েন। টহলদার বনরক্ষীর দল তাঁকে কাঠচোর ভেবে গুলি করে।’
এদিকে বনরক্ষীদের গুলিতে বিমলের হত্যার খবর পৌঁছতেই কোদাল বস্তি গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার একটি বিট অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। বন দফতরের দুটি গাড়িও তাঁরা ভাঙচুর করেন।
উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাতে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে গাছ কাটার উদ্দেশে অনুমতি ছাড়াই ১৫ জন প্রবেশ করে। টহলরত বনকর্মীরা তাদের বাধা দিলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আত্মরক্ষার জন্য পালটা গুলি চালান বনকর্মীরা। ঘটনায় একজনের দেহে গুলি লাগার পরে বাকিরা পালিয়ে যায়।’
বিমলের মৃত্যুর জেরে তাঁর পরিবারের জন্য বন দফতরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে।