বিভিন্ন সরকারি কাজে শাসক গোষ্ঠীর সাথে মনোমালিন্য এবং পদত্যাগের ঘটনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। কিন্তু এবার মধ্যপ্রদেশের উচ্চপদস্থ এক আমলা পদত্যাগ করলেন অভিনব এক কারণে। মধ্যপ্রদেশের ডেপুটি কালেক্টর নিজের বাড়ির গৃহপ্রবেশে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছুটি পেলেন না। আর এ'কারণেই ডেপুটি কালেক্টর নিশা বাংরে পদত্যাগ করলেন বৃহস্পতিবার।
পদত্যাগপত্রেরএকটি অনুলিপি এএনআই প্রকাশ করেছে। নিশা বাংরে সেখানে স্পষ্ট লিখেছেন, 'নিজের বাড়ির গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিষেধ করে একটি বিভাগীয় চিঠি আমি পাই। এতে আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি। এর ফলে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত লেগেছে। পারিবারিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় আমার মৌলিক অধিকার, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ সংকটে পড়ে। এভাবে আপোষ করে ডেপুটি কালেক্টর পদে চাকরি চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। তাই, আমি ২২ জুন অবিলম্বে ডেপুটি কালেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।'
স্বাভাবিক ভাবেই পদত্যাগের পরে, রাজনৈতিক মহলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে বাংরে সম্ভবত আগামীতে কোনও রাজনৈতিক দিলে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত এ'বছরের শেষে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট রয়েছে। তাই গুজব আরও প্রবল।
বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা বাংরে অবশ্য গুজবকে ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন৷ তিনি স্পষ্ট ভাবেই বলেন, তার পদত্যাগের কারণ, ২৫ জুন গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে সরকারের দিক থেকে তার ছুটি মঞ্জুর না করা। এতে তিনি গভীর ভাবে মর্মাহত হন।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে বাংরেকে প্রশ্ন করে হলে তিনি বলেন, 'আমার এই মূহুর্তে এমন কোনও লক্ষ্য নেই৷ এমনকি এধরনের কোনও প্রস্তাব কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমার কাছে আসেনি। আমার পদত্যাগের সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় আমি মর্মাহত, একারণেই এই সিদ্ধান্ত।
অবশ্য রাজনীতির ময়দানে আসার বিষয়ে আপত্তি নেই তার, একথাও স্পষ্ট। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংরে জানান, 'এধরনের কোনও প্রস্তাব এলে তা নিয়ে ভাববেন।' ফলে জল্পনা এখনই মিথ্যে প্রমাণিত হল না। আগামীতে কী হয়, সেটাই এখন দেখার।