স্নাতক স্তরে কলেজে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভরতির বিষয়টি নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গত বছর শেষ মুহূর্তে এই বিষয়টি বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবছরই রাজ্যের সব কলেজে স্নাতক স্তরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি নেওয়া হবে। শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কলেজের স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের ভরতির জন্য অভিন্ন পোর্টাল চালু হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি শিক্ষাবর্ষেই বদলাবে নিয়ম, বাংলায় একই পোর্টাল থেকে ভরতি হওয়া যাবে কলেজ
শনিবার কলকাতার মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব। সেখানে শিক্ষা এবং শিল্পক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে যোগাযোগ কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব। তখনই স্নাতক স্তরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভরতির বিষয়টি জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মণীশ জৈন বলেন, গত বছর শেষ মুহূর্তে ৪ বছর ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়েছিল। ফলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোর্টালটিতে আসন বিন্যাস বদল করা প্রয়োজন ছিল। শেষ মুহূর্তে গত বছর তা সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কলেজগুলি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ প্রতিবছর দেখা যায় কলেজগুলিতে প্রচুর সংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে যায়। তাছাড়া ভরতির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এভাবে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভরতি হলে সেক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকে তেমনি কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা ফাঁকা থাকার প্রবণতাও কমবে।
উল্লেখ্য, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছ্বতা আনতে ভরতির ক্ষেত্রে এই নয়া পোর্টাল চালু করার কথা চলছে বেশ কয়েবছর ধরেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্তরে অনলাইন পোর্টালের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারাও ঘরে বসে দেখতে পাবেন রাজ্যের কোন কলেজে কটি আসন রয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমেই টাকা জমা করে ভরতি হওয়া যাবে। উচ্চশিক্ষায় স্বচ্ছ্বতা আনতেই এই পদক্ষেপ। তিনি এও বলেছিলেন, এতে কোনও কারচুপির সুযোগ এতে নেই। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, ত্রিপুরা, কোথাও এমন বন্দোবস্ত নেই। বাংলাতেই এটা প্রথম চালু হচ্ছে।