এবছর টেট হতে চলেছে আগামী ডিসেম্বরে। তার জন্য ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। তবে এবছর প্রাথমিকের টেটে আবেদনকারীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর টেটে আবেদনকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর টেটে আবেদনকারী সংখ্যা ছিল প্রায় সাত লক্ষ। আর এ বছর তা কমে হয়েছে ৩ লক্ষ ১০ হাজার।
আরও পড়ুন: পুজোর পরে হবে প্রাথমিক টেট! কোন তারিখে হতে পারে? আলোচনা পর্ষদের- রিপোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল প্রতি বছর টেট হবে। ঘোষণা মতোই এক বছরের মাথায় আগামী ১০ ডিসেম্বর হবে ২০২৩ সালের টেট। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর অবদানকারীর সংখ্যা কেন কম হয়েছে? সে প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর ডিএল এবং বিএড সকল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ ছিল। তবে এই বছর সেই সুযোগ নেই। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এবছর শুধুমাত্র ডিএলএড উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আবেদনের সংখ্যা কমেছে। তাছাড়া গত বছর যারা টেট দিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। যার সংখ্যাটা হল ১ লক্ষ ৫০ হাজার। এর মধ্যে আবার ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছরের টেটে আবেদন করতে পারবে না বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। মূলত এই সমস্ত কারণেই আবেদনকারীর সংখ্যা কমেছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, টেটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর হয়েছিল টেট। ওই বছর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। এবারের টেটের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা সংক্রান্ত মডেল উত্তরপত্র এবং কোন বিভাগে কত নম্বর থাকবে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি গত বছরের মতো এবছরও পরীক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সিসিটিভি এবং বায়োমেট্রিক রাখা হবে। জানা গিয়েছে, এই বছর পরীক্ষা হবে দুপুর ১২টা থেকে। আর পরীক্ষাগ্রহণ আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে প্রতি বছর টেট হওয়ায় খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।