কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অটল র্যাঙ্কিং ইনস্টিটিউশনস ইন ইনোটিভেশন অ্যাচিভমেন্টস (ARIIA) ২০২০ এর তালিকায় প্রথম স্থান দখল করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মাদ্রাজ। তার পরেই রয়েছে মুম্বই ও দিল্লি আইআইটি। মঙ্গলবার উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এই তালিকা প্রকাশ করেন।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি) চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং আইআইটি খড়গপুরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউট এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনী শক্তিকে উত্সাহিত করা, উদ্যোগে উন্নতি সাধন, নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি, বৌদ্ধিক সম্পদ উৎপাদন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং বাণিজ্যকরণ-সহ অন্যান্য দিকগুলি উৎসাহিত করার বিচারে এই তালিকা তৈরি করা হয় বা র্যাঙ্কিং দেওয়া হয়।
কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরীখে শীর্ষ পদটি দখল করেছে তামিলনাড়ুর কয়ম্বাতুরের অবিনাশলিঙ্গম ইনস্টিটিউট ফর হোম সায়েন্সেস অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী দিল্লি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন।
বেসরকারি বা স্ব-অর্থায়িত কলেজ বিভাগে, শীর্ষ র্যাঙ্ক-এ আছে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের এস আর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে আছে নাগপুরের জি এইচ রাইসনি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং।
বেসরকারি বা স্বঅর্থায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে, সেরার শিরোপা পেয়েছে ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (KIIT)। তামিলনাড়ুর এস আর এম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি দ্বিতীয় স্থান এবং ভেলোরের ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তৃতীয় স্থানে আছে।
সরকারি ও সরকার-অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিভাগে শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে মুম্বাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল অ্যান্ড টেকনলজি। পাঞ্জাবের চন্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চৌধুরী চরণ সিংহ হরিয়ানা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
পুনের কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ বিভাগে শীর্ষে আছে এবং কর্ণাটকের পিইএস কলেজ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে কয়েম্বাটুর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি।
মোট ৭৪৭৪ টি প্রতিষ্ঠান র্যাঙ্কিংয়ে অংশ নেয়।
নাইডু এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বলেন উদ্ভাবনই মানুষের অগ্রগতির মূল সংজ্ঞা। তিনি বলেন, উদ্ভাবন যাতে সমৃদ্ধি লাভ করে তা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুনরায় উদ্ভাবন করা উচিত। তিনি বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) এই দিকটিতে একটি গভীর দৃষ্টি দিয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।