সোমবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৫৭ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। এর ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল আফগানিস্তান। শারজাহতে খেলা ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলেছিল। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৭.২ ওভারে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইব্রাহিম জাদরান (৭২*) ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন এবং রশিদ খান (৩৩ রান ও ৮ উইকেট) টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন।
নবীন-ওমরজাইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ
১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। অ্যান্ডি বালবির্নিকে (৯) ক্লিন বোল্ড করেন নবীন উল হক। এখান থেকে আয়ারল্যান্ডের উইকেটের ক্রম শুরু হয় এবং তারা ১০০ রানের মধ্যেই অলআউট হয়ে যায়। পরের বলেই লরকান টাকারকে ক্লিন বোল্ড করেন নবীন।
আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে (৪) বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডকে তৃতীয় ধাক্কা দেন ফজলহক ফারুকী। পুরো ইনিংস জুড়ে এসব ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি আইরিশ দল। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর (১৬), কার্টিস ক্যাম্ফার (২৮) এবং গ্যারেথ ডেলানি (২১) দুই অঙ্কে রান করতে পারেন।
আফগানিস্তানের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। তিনটি উইকেট নেন নবীন উল হক। একটি করে সাফল্য পেয়েছেন ফজলহক ফারুকী, রশিদ খান ও নাঙ্গেলিয়া খারোতে।
জাদরান জোরালো হাফ সেঞ্চুরি করেন
তবে এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে আসা আফগানিস্তানের শুরুটাও ভালো হয়নি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৬) এডারের হাতে ক্যাচ আউট হন টেক্টরের বলে। এরপর ক্রিজে আসেন ইব্রাহিম জাদরান, যিনি এক প্রান্ত ধরে রাখলেও অন্য প্রান্ত থেকে ভালো সমর্থন পাননি।
দ্বিতীয় আফগান ওপেনার সেদিকউল্লাহ আটলকে (১৯) নিজের বলেই ক্যাচ আউট করেন ডেলানি। আজমাতউল্লাহ (৩) লিটলের বলে ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ আউট হন। জাদরানকে ভালো সমর্থন করেন মহম্মদ ইসহাক (২৭)। দুজনেই চতুর্থ উইকেটে ৫৪ রানের হাফ সেঞ্চুরি জুটি গড়েন। ইসহাককে স্টার্লিংয়ের বলে ক্যাচ আউট করে এই জুটি ভাঙেন ওয়াইট।
এরপর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন মহম্মদ নবি (৬), রশিদ খান (৩) ও ইজাজ আহমেদ আহমেদজাই (১০)। ইব্রাহিম জাদরান ৫১ বলে ৫ চার ও তিন ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৭২ রান করে আফগানিস্তানকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান। আয়ারল্যান্ডের ব্যবহৃত ৬ বোলারের সকলেই একটি করে উইকেট নেন।