বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > এশিয়া কাপ > IND vs PAK: প্রেমদাসার আউটফিল্ড শুকনো করতে আনা হল পাখা, অভিনব উপায়কে কুর্নিশ অশ্বিনের

IND vs PAK: প্রেমদাসার আউটফিল্ড শুকনো করতে আনা হল পাখা, অভিনব উপায়কে কুর্নিশ অশ্বিনের

প্রেমাদাসায় মাঠ শুকনো করতে আনা হল পাখা।

মাঠকর্মীরা আউটফিল্ড শুকনো করতে নিয়ে আসেন একটি ঠেলা গাড়ি। যে গাড়িতে ছিল তিনটি ইলেকট্রিক পাখা। অনেকটা ভারতের লোকাল ট্রেনের কামরাতে যেমন আমরা দেখতে পাই তেমন পাখা। সেই পাখাগুলোতেই বিদ্যুৎ সংযোগ করে চালিয়ে দেন মাঠকর্মীরা।

শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়া কাপে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। গ্রুপ পর্যায়ে পাল্লেকেলেতে তাদের ম‌্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রবিবার ফের মুখোমুখি হয়েছিল সুপার ফোরের ম্যাচে। সেই ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। ফলে টু্র্নামেন্টের নিয়ম বদলে আগে থেকেই রাখা হয়েছিল রিজার্ভ ডে। বাস্তবে ঘটলও তাই। ভারতের ইনিংসের ২৪ ওভারের খেলা শেষে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে পিচের উপর কোনও প্রভাব না পড়লেও আউটফিল্ড ভিজে যায়। মাটি নরম হয়ে যায়। এমন অবস্থায় ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ চালু করতে মাঠ কর্মীরা যা করলেন তা অভাবনীয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এর আর এমন কোনও উদাহরণ আছে কিনা তা বলাও যথেষ্ট কঠিন।

আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচ রিজার্ভ ডে-তে গড়ালেও নিস্তার নেই বৃষ্টির থেকে, খেলা বাতিল হলে সমীকরণ কী হবে?

মাঠকর্মীরা আউটফিল্ড শুকনো করতে নিয়ে আসেন একটি ঠেলা গাড়ি। যে গাড়িতে ছিল তিনটি ইলেকট্রিক পাখা। অনেকটা ভারতের লোকাল ট্রেনের কামরাতে যেমন আমরা দেখতে পাই তেমন পাখা। সেই পাখাগুলোতেই বিদ্যুৎ সংযোগ করে চালিয়ে দেন মাঠকর্মীরা। উদ্দেশ্য একটাই, যে ভাবে হোক ভিজে যাওয়া আউটফিল্ডকে যাতে শুকিয়ে ফেলা যায়। এভাবেই দীর্ঘ লড়াই চালাতে দেখা গেল তাঁদের। তবে তাঁদের সব চেষ্টা বৃথা করে দিয়ে ম্যাচ কিন্তু শেষ পর্যন্ত গড়ালো ওই রিজার্ভ ডে-তেই। তবুও মাঠকর্মীদের যে লড়াই, তা নিঃসন্দেহে মনে রাখার মতন। আর্থিক দিক থেকে উন্নত ক্রিকেট খেলিয়ে দেশে এই সব ক্ষেত্রে জল শুকোতে সুপার সপার নামক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘এটা পাক্কা আউট, রিভিউ নাও প্লিজ’- রউফের অনুরোধে বিরক্ত বাবর, কাণ্ড দেখে হাসলেন রাহুল- ভিডিয়ো

যেখানে ছোট্ট গাড়ির মতন যন্ত্রটিকে বৃষ্টির পরে মাঠের মধ্যে দিয়ে চালানো হয়। মাঠে জমে থাকা জলকে ছেঁচে তুলে এনে এই যন্ত্র তার পিছনে থাকা বালতিতে ধরে রাখে। এভাবেই মাঠ শুকনো করার কাজ করা হয়। তবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সেই সুবিধা পাননি মাঠকর্মীরা। তার পরেও হাল না ছেড়ে দিয়ে যে অক্লান্ত পরিশ্রম তারা করে গিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে কুর্নিশযোগ্য। বিষয়টি দেখে হতবাক হয়ে যান ভারতের তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।

তিনি টুইট করে লেখেন, ‘অনবদ্য আবিষ্কার। মাঠকর্মীদের কাজটা হল ধন্যবাদহীন একটা কাজ। ওঁদেরকে কুর্নিশ। ওঁরাই আসল হিরো।’

এদিন যে কোনও উপায়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুরু করতে মরিয়া ছিলেন আয়োজকেরা। সেই কারণেই অভিনব পদ্ধতি বের করেন মাঠকর্মীরা। বৃষ্টি থামার পর সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ প্রথম বার আম্পায়াররা মাঠ পরীক্ষা করেন। কিন্তু মাঠের একাংশ ভিজে এবং জল জমে ছিল। আম্পায়ারেরা সাজঘরে ফিরে দুই দলের অধিনায়কদের পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই মাঠে খেলতে নামলে চোট অবশ্যম্ভাবী। তাই তাঁরাও গররাজি ছিলেন। আম্পায়ারের যুক্তি, তাঁরাও মেনে নেন। রাত ৮টায় দ্বিতীয়বার মাঠ পর্যবেক্ষণ ছিল। তখনই দেখা যায় পিচের কাছে একটি ঠেলাগাড়ি আনা হয়েছে। তার উপরে রয়েছে তিনটি পাখা। সেই পাখাতে বিদ্যুৎ সংযোগ করেই পিচ শুকানোর অভিনব লড়াই চালান প্রেমাদাসার মাঠকর্মীরা।

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি - এর জন্য চোখুন HT Bangla - তে

বন্ধ করুন