শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির বিচারে টি-২০ ফর্ম্যাটের সেরি ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার বেথ মুনি। কেন তাঁকে আইসিসি সেরা বলছে তা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি। হোবার্টে মঙ্গলবার এক অনবদ্য ৮২ রানের ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। আর তাঁর ইনিংসে ভর করেই এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জেতার পাশাপাশি সিরিজ জয়ও জিতল অস্ট্রেলিয়া। গত টি-২০ ম্যাচে হারের বদলা তারা সুদে আসলে এদিন নিয়ে নিল হোবার্টে। আর তা সম্ভব হল নিজের অসুস্থতাকেও উপেক্ষা করে বেথ মুনির খেলা ওই অনবদ্য ইনিংসের কারণেই।
এদিন খেলা শুরুর আগে এতটাই অসুস্থ ছিলেন বেথ মুনি যে তিনি আদৌও এই ম্যাচে খেলবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত তিনি খেলেন। আর তাঁর ইনিংস এদিনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দিল দুই দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নিজের কেরিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না মারিজান কাপ। কাপের দুরন্ত ইনিংসে ভর করে এদিন প্রোটিয়া বাহিনী সাত উইকেটে ১৬২ রান করে। বেথ মুনির অসাধারণ জবাবি ইনিংসে ভর করে চার বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ এবং সিরিজ জয় নিশ্চিত করে অজি দল। এদিন ম্যাচে অনবরত উইকেট হারায় অজি দল। একটা দিক আগলে রাখেন মুনি। তিনি ১৮ তম ওভারে আউট হন। এই সময়ে দরকার ছিল ১৪ বলে ১৪ রান। অ্যাশলে গার্ডনার নিজের নার্ভ ধরে রেখে একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলে জয় নিশ্চিত করেন।
ঘটনাচক্রে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সেরা স্কোরটি করেছিল। নিজের কেরিয়ারের শততম ম্যাচে অনবদ্য ব্যাট করেন কাপ। তিনি তাঁর কেরিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন এদিন। মাত্র ৪৮ বলে করেন ৭৫ রান। উল্লেখ্য মেয়েদের ক্রিকেটে রবিবার ইতিহাস লিখেছিল প্রোটিয়া বাহিনী। তারা যে কোন ফর্ম্যাটে অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম জয় তুলে নেয়। আর এই জয়ের মধ্যে দিয়েই তারা সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ছিল মঙ্গলবার। সেই ম্যাচেই দুই দলের হয়ে দুটি অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন কাপ এবং মুনি। মুনির ইনিংস এদিন সাজানো ছিল ১১ টি চার এবং একটি ছয়ে। প্রসঙ্গত সিরিজের প্রথম ম্যাচেও মুনি ৭২ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। এদিনের ম্যাচে অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি এবং তাদের তারকা ক্রিকেটার এলিস পেরি রান পাননি। অন্যদিকে এদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ও ভালো হয়নি। ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়েছিল তারা। সেখান থেকে তাদেরকে ম্যাচে ফেরান কাপ। দলকে তাঁর ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের জায়গাতে পৌঁছে দিলেও মুনির অনবদ্য ব্যাটিং নৈপুণ্যে ম্যাচ বের করে নেয় অজিরা।