রঞ্জি দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করা আর আইপিএলে অধিনায়কত্ব করায় অনেক পার্থক্য আছে। সম্প্রতি কুলদীপ যাদবের সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সে হওয়া ঝামেলা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। আরেক জাতীয় ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে রাজ্য সংস্থাগুলোর ম্যানেজমেন্টের যথেষ্টই পার্থক্য থাকে। সেই কারণেই কেকেআরে যখন তিনি অধিনায়ক ছিলেন সেই সময় কুলদীপের পারফরমেন্স নিয়ে বিরক্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিও হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দুই ক্রিকেটার রয়েছেন দুই ভিন্ন দলে, দুই ভিন্ন মেরুতে। বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলে খেলেন দীনেশ কার্তিক, অন্যদিকে দিল্লির হয়ে আইপিএলে খেলেন কুলদীপ।
আরও পড়ুন-স্পনসর পেতে সমস্যা নেই কোনও, ISL-এ উঠে সমর্থকদের আশ্বাস মহমেডানের
আইপিএলে ঠিক ক্রিকেটার থেকে অধিনায়ক হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল , তা কার্তিকের থেকে জানতে চান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নাইটদের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আইপিএলের অনেক পার্থক্য আছে। এখানে অনেক মানুষ ভুল বোঝে। অনেক সময় বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কাজের প্রতি সৎ থাকতে হয়, কারণ পুরো বিষয়টাই পারফরমেন্সের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে’।
আরও পড়ুন-গড়াপেটা ইস্যুতে বেসামাল IFA, সিদ্ধান্ত ঘেরে ক্ষোভ অন্দরমহলেই
নিজেই কুলদীপের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে কার্তিক বলেন, ‘যখন কেকেআরে কুলদীপ খেলত, তখন ওর সময়টা খারাপ যাচ্ছিল। এখনকার মতো পারফরমেন্স করতে পারছিল না। সেই নিয়ে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হত। অথচ আজ কুলদীপ কত ভালো বোলার তৈরি হয়ে গেছে। আমি ওকে দেখে সত্যিই খুব খুশি হই। কারণ বিষয়টি মোটেই ব্যক্তিগত ছিল না।
সেই জায়গাগুলোয় কাজ করে এখন কুলদীপ বিশ্বের সেরা বোলারগুলোর মধ্যে একজন। সেই সময় হয়ত আমার কথাগুলো ওর খারাপই লেগেছিল, কিন্তু কিছু করার ছিল না’।
আরও পড়ুন-কম টাকার জন্যই কি আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন হাসারাঙ্গা?
যদিও কুলদীপের প্রশংসা করে কার্তিক বলছেন, ‘সেই সময় আইপিএলে পুরো ব্যাটিং পিচ হত। ফলে তার জন্য কাজটাও কঠিন ছিল। কিন্তু ওর জন্যে সেটা ভালো হয়েছে, কঠিন পিচে বল করেছে বলে এখন এত ভালো বোলিং করছে। হয়ত আমারই দুর্ভাগ্য ছিল আমি ওই ৩-৪ বছর অধিনায়কত্ব করতাম। কিন্তু দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যেতে গেলে, স্পষ্টভাবেই অনেক কথা বলার দরকার। সেটাই বলেছি। কারণ দলকে সাফল্য দেওয়ার একটা দায়িত্বও থাকে। যাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, এই আশাতেই নেওয়া হয় যে সেই সিদ্ধান্তে হয়ত দলের সাফল্য আসবে’। তিনি যে সবসময় ক্রিকেটারদের সত্যিটা বলার চেষ্টা করেছেন, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। এরপরই কার্তিকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অশ্বিন বলেন, 'সময় সব ঠিক করে দেয়। আসতে আসতে বিষয়গুলো মানুষ বুঝতে শেখে, তাই সৎ থাকতেই হয়’।