সদ্য শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে নিজের ভালো ফর্ম অব্যাহত রেখেছে মুশির খান। ব্যাট হাতে খেলে চলেছে একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস। বিশেষ করে ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার সরফরাজ খানের ভাইয়ের আকর্ষণীয় স্ট্রোক নজর কেড়েছে সকল ক্রিকেটপ্রেমীর। অনেকেই দাবি করছেন তিনি আগামী সময়ে একটি বড় নাম হয়ে উঠবে টিম ইন্ডিয়ার।
কিন্তু সবার ঊর্ধ্বে মুশির জয় করে নিয়েছে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা সচিন তেন্ডুলকারের। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বিদর্ভের বিরুদ্ধে তিনি হাঁকিয়েছেন একটি চমৎকার শতরান। এখানেই শেষ নয় তিনি লিটিল মাস্টারের উপস্থিতিতেই করে দেখিয়েছেন এমন কামাল, যা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সচিনও। এই বিষয় এক সাক্ষাৎকারে মুশির মুখ খুললেন এবং দাবি করলেন যে তিনি জানতেনই না যে কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাঠে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাকে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখতে পেয়েই তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বড় ইনিংস খেলার জন্য।
মুশির খান বলেন, 'আমি জানতামই না যে সচিন স্যার খেলা দেখতে এসেছেন। যখন আমি ৬০ রানে ব্যাট করছি তখন আমি জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখতে পাই যে স্যার এসেছেন। এরপরই মনে একটা আলাদা সাহস জেগে ওঠে এবং আমি উদ্বুদ্ধ হই আরো বড় ইনিংস খেলার জন্য যেহেতু স্যার এসেছেন এবং আমাকে ওনার মনে ধরাতেই হবে।' এছাড়াও এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এরপরই তরুণ ক্রিকেটারের মুখে প্রশংসা শোনা যায় রাহানে ও আইয়ারের। তিনি বলেন, 'আমি যে পার্টনারশিপগুলো করেছি সেখান থেকে সত্যি বলতে গেলে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার এটা ভাবতেই গর্ববোধ হয় যে আমি দুই তারকা টেস্ট ব্যাটার রাহানে এবং শ্রেয়সের সঙ্গে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছি। ওদের দলের জন্য সকলেই উঠে পড়ে লেগেছিল আজ্জু দাদাকে আউট করতে। ওখানেও কিছুটা আমার কাজ সহজ হয়ে ওঠে। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে শতরান করাটা আমার কাছে একটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার। আমি আর আইয়ার ভাই একটা ভালো পার্টনারশিপ গড়ি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও ভালো হচ্ছিল। উনি আমায় বোঝাচ্ছিলেন যে, এখনও আমাদের লম্বা সময় ধরে ব্যাট করে যেতে হবে এবং একটা বড় রান তুলতে হবে বোর্ডে। এগুলোই আমাকে অনেককিছু বুঝতে সাহায্য করেছে এদিন।'