শুভব্রত মুখার্জি: ওয়ানডে ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে অন্যতম শক্তিধর দেশ অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল তারা। আর কোনও দেশ যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে মাইকেল ক্লার্কের অধিনায়কত্বেও গোটা বিশ্বকে কার্যত শাসন করেছে তারা। সেই অজিরাই ধীরে ধীরে তাদের শক্তি হারিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। ২০২০ সালে প্রথমবার তারা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে পরপর পাঁচ ম্যাচে হারের লজ্জার নজির গড়েছিল। আর এদিন ভারতের বিরুদ্ধে চলতি ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গিয়ে তারা তাদের সেই লজ্জার নজিরকেই ফের একবার স্পর্শ করল। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ঘটে গেল এই লজ্জাজনক ঘটনা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল অজিরা। সেখানে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে তারা। এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় মিচেল মার্শ বাহিনী। কিন্তু পরবর্তী তিনটি ম্যাচেই তাদেরকে হারিয়ে দেয় তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দল।ফলে ৩-২ সিরিজ জিতে যান কুইন্টন ডি'ককরা।
এরপরেই ভারত সফরে আসেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথরা। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হন মোহালিতে। সেই ম্যাচে কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারতের কাছে হারতে হয় তাঁদের। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও এদিন ইন্দোরে হেরে বসল অস্ট্রেলিয়া। ফলে তাদের শেষ পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচে ফের হারার লজ্জার নজির স্পর্শ করল তারা।
কাকতলীয়ভাবে প্রথমবার যখন এই ঘটনা ঘটে তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচে পরপর হারের পরে ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচে পরপর হারতে হয়েছিল তাদের। এইবারেও সেই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
এদিন অজি বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ভারতীয় ব্যাটাররা। শুভমন গিল এবং শ্রেয়স আইয়ার দুজনেই শতরান হাঁকান। শুভমন গিল এদিন ১০৪ রান করেন মাত্র ৯৭ বল খেলে। আর শ্রেয়স আইয়ার ৯০ বলে করেন ১০৫ রান। দুজনে মিলে ১৬৪ বলে গড়েন ২০০ রানের পার্টনারশিপ।
ভারতের ইনিংসের শেষে দিকে মাত্র ৩৭ বলে ৭২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। কেএল রাহুল করেন ৫২ রান। এরপরে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ করা হয় ৩৩ ওভারের। অজিদের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ৩১৭ রানের। যার জবাবে মাত্র ২১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩ এবং শন অ্যাবট ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৯৯ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ভারতীয় দল।