প্রথমত চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। যে কারণে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে। তার উপর প্রথমবার টি-২০ ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিতে নেমে সিরিজ জিতিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই খুশির ঠিকানা নেই বুমরাহর। তবে আক্ষেপ একটাই যে, আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া হয়। কেননা বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায় সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচ।
সিরিজ জয়ের জন্য বুমরাহ নিজের খুশি যেমন লুকিয়ে রাখেননি, ঠিক তেমনই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় হতাশাও প্রকাশ করেন। আসলে মাঠে আসার সময়েও আবহাওয়া দেখে মনে হয়নি খেলা পরিত্যক্ত হতে পারে বলে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও মাঠে নামতে না পারায় মন খারাপ জসপ্রীতের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এপ্রসঙ্গে বুমরাহ বলেন, ‘অপেক্ষা করার পরেও খেলা ভেস্তে গেলে হতাশ লাগে। মাঠে আসার সময়েও মনে হয়নি বৃষ্টি হতে পারে। সকালে আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল।’
সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো ২টি বড় টুর্নামেন্ট। চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পরে বুমরাহকে যতটা তৎপর দেখিয়েছে, তাতে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে, তিনি ভয়ে ভয়ে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারকা ক্রিকেটারদের চোট এড়িয়ে খেলার প্রবণতা চোখে পড়ে। তবে বুমরাহ সেপথে হাঁটেননি। তার কারণটাও খোলসা করেন তারকা পেসার। তাঁর দাবি, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাইবেন সবাই।
বুমরাহ বলেন, ‘দেশকে নেতৃত্ব দেওয়াটা গর্বের। এমন সুযোগ পেলে সবাই মুখিয়ে থাকবে। আমিও ব্যতিক্রমী নই। ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে নামলে আপনার উপর বাড়তি দায়িত্ব থাকে। আমি দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি। সব ক্রিকেটাররাই দায়িত্ব নিতে চায়।’
ঠিক এর পরেই যে কথাগুলো বলেন জসপ্রীত, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের উৎফুল্ল করবে সেই ছোট্ট আপডেট। অতীতে চোট সারিয়ে দলে ফেরার ঠিক পরেই ফের মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়েছে বুমরাহকে। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, তাই এবার জসপ্রীতের ফিটনেসের দিকে নজর ছিল সমর্থকদের। নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বুমরাহ বলেন, ‘কোনও সমস্যা নেই। সব কিছু একদম ঠিকঠাক আছে।’
বুমরাহ শেষ করেন এই বলে যে, ‘ছেলেরা সবাই নিজেদের দায়িত্ব বোঝে। সবাই অত্যন্ত উৎসাহী। এটাই ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার কাজ সহজ করে দেয়। এমন একটা দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে দারুণ খুশি। এর থেকে বেশি খুশি হওয়া সম্ভব নয়।’