শুভব্রত মুখার্জি:- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের হাত ধরে বদলে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। শুধু এদেশেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেও হইচই ফেলে দিয়েছে আইপিএল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগের ধাঁচেই বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। একদিকে যেমন এই আইপিএলের হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে হয়েছে অফুরন্ত টাকার যোগান। তেমনি অন্যদিকে উঠে এসেছেন একাধিক নবীন এবং প্রতিভাবান তারকাও। ফলে শক্ত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইন। শক্তিশালী হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চও। এই আইপিএলকে নিয়েই এবার এক বড়সড় দাবি করে বসলেন লিগের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। তাঁর মতে আইপিএলের কারণেই ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাট আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'নতুন ছেলেদের ক্রিকেটে পরিচিতি ঘটানোর ক্ষেত্রে আইপিএল অনবদ্য কাজ করেছে। আমরা দেখেছি প্রতি বছর কিভাবে নতুন নতুন তারকা ক্রিকেটার আমাদের সামনে উঠে এসেছেন। যেমন ধরুন রিঙ্কু সিং,যশস্বী জসওয়ালের মতো তারকারা। এই দুইজন ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের হয়ে খেলছে। তাই নয়া ট্যালেন্টের ক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্ট একটা দুর্দান্ত মঞ্চ। আশা করব এই মরশুমেও এক ঘটনা ঘটবে। সত্যি বলতে শেষ ১৫ বছরে আইপিএল এক অন্য উচ্চতায় গিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা লিগ হয়ে উঠেছে আইপিএল। এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটের যে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে আশা করছি সেটা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়বে না। আমরা দেখেছি কিভাবে টেস্ট ম্যাচে এখন অনেক বেশি ফয়সালা হয়। ওডিআই ক্রিকেটও কত বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে তা আমরা সবাই জানি। আইপিএলের কারণেই কিন্তু ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাট আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'আমরা দেখেছি আজ থেকে দুই দশক আগেও ২৫০-৩০০ রান হলে ম্যাচ প্রতিযোগিতামূলক হত। এখন ৪০০ রান নিয়মিত হয়ে যাওয়ার পরেও ম্যাচ প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে। যা ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো বিজ্ঞাপন। সচিন তেন্ডুলকর যখন প্রথম ওয়ানডেতে দ্বিশতরান করল তখন আমরা সেটা উদযাপন করেছি। তারপর দেখেছি ক্রিকেট আস্তে আস্তে কতটা বদলে গিয়েছে। তার প্রধান কারণ এই সময়ে টি-২০ ফর্ম্যাট যেমন এসেছে তেমন এসেছে আইপিএল। যা আমূল বদলে দিয়েছে সবকিছু।'
ভারত বনাম ইংল্যান্ডের শেষ টেস্ট নিয়ে বলতে গিয়ে ধুমাল জানিয়েছেন, 'এই (ধরমশালা) টেস্ট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে অশ্বিন এবং বেয়ারস্টো দুজনেই তাদের কেরিয়ারের ১০০তম ম্যাচ খেলছে। আশা করা হচ্ছে এই টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসন হয়ত টেস্টে তাঁর ৭০০তম উইকেটটিও পাবেন। ধরমশালা টেস্ট এমনদিনে শুরু হয়েছে যে দিনটিতে সুনীল গাভাসকর টেস্টে ১০,০০০ রান পূর্ণ করেছিলেন। ফলে সবদিক থেকেই এই টেস্ট ম্যাচ বেশ স্পেশাল হতে চলেছে।'