এই বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আইসিসি পুরুষ ওডিআই বিশ্বকাপের আগে অভিজ্ঞ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে তাঁর ফিটনেস প্রমাণ করার জন্য সব রকম সুযোগ দেবে নিউজিল্যান্ড। মার্চে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময়ে তার হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, এই বছরের বিশ্বকাপে তাঁর অংশগ্রহণ অসম্ভব বলেই মনে হয়েছিল। তবে ৩৩ বছরের তারকা চোট থেকে দ্রুত সেরে উঠছেন। এমন কী তাঁকে এখন বিশ্বকাপে দলে রাখার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
অভিজ্ঞ এই ডানহাতি ব্যাটার ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হতে চলা ছয় সপ্তাহের টুর্নামেন্টের জন্য নিউজিল্যান্ডের ১৫ জনের স্কোয়াডে ফিরতে মরিয়া। উইলিয়ামসন ইতিমধ্যে নেটে ব্যাটিং অনুুশীলন শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের সঙ্গে চলতি ইংল্যান্ড সফরেও থাকছেন ৩৩ বছর বয়সী স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন: কোমর থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা করত- চোট নিয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন শ্রেয়স
বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের জন্য আইসিসিকে একটি প্রাথমিক স্কোয়াডের তালিকা দিতে হবে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তার পরে ২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা জমা দিতে হবে। এর পরে দলে পরিবর্তন করতে হলে আইসিসির অনুমোদন সাপেক্ষে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে।
নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড বলেছেন, যখন উইলিয়ামসন সম্পূর্ণ ভাবে ফিট হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখনও দলের অধিনায়কের নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করতেই হবে। তাঁর মতে, ‘এখন থেকে আরও সপ্তাহ দুয়েক আছে আমাদের দল ঘোষণা করার জন্য। আমরা ওকে সব রকম সুযোগই দিতে এবং এই সময়ের পুরোটা কাজে লাগাতে চাই।’
আরও পড়ুন: শাহিনের বিকল্প খুঁজে পাক পেসারের মোকাবিলা করার বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোহিত- ভিডিয়ো
তিনি যোগ করেছেন, ‘ও পুরো রিহ্যাব মোডে আছে, পাশাপাশি নেটে ব্যাটিংও করছে, যা দেখে খুব ভালো লাগছে। ও সত্যিই দ্রুত উন্নতি করছে। কিন্তু এটাও বলতে হবে, আমরা ওকে যেখানে দেখতে চাই, সেখানে পৌঁছতে হলে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে ওর।’
উইলিয়ামসন কিউয়িদের হয়ে ইতিমধ্যেই তিনটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে। তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। এবং শেষ সংস্করণে অর্থাৎ ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপে ৮২.৫৭ গড়ে ৫৭৮ রান করেছিলেন। তিনি সেবার দু'টি সেঞ্চুরি এবং আরও দু'টি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবং নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। তবে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও অদ্ভূত নিয়মের জেরে লর্ডসে ইংল্যান্ডের কাছে ফাইনালে হেরে যায় কিউয়িরা। যে কারণে উইলিয়ামসনের অভিজ্ঞতা যে ২০২৩ সালে গুরুত্বপূর্ণ হবে, সে কথা মাথায় রেখেই তাঁকে দলে ফেরাতে আগ্রহী কিউয়ি টিম ম্যানেজমেন্টও।