মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দুরন্ত ইনিংস খেলে সকলের নজরে চলে এসেছেন মধ্য় প্রদেশ থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার আশুতোষ শর্মা। এখন অবশ্য তিনি রেলওয়েজের হয়ে খেলেন। কিন্তু একটা সময় অনেক কাঠখড় পুড়িয়েই তাঁকে সুযোগ পেতে হয়েছিল দলে। সেই আশুতোষই এবারের আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই লোকের আকর্ষণ টানছেন, কারণ অবশ্যই তাঁর মারকাটারি ব্যাটিং। খুব যে বড়় রান করছেন তেমনটা নয়, তবে যেটুকু করছেন। তাতেই তিনি নিজেকে আগামী মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রির তকমা কামিয়ে ফেলেছেন। মুম্বইয়ের বিপক্ষে যশপ্রীত বুমরাহ-র বলে মারা একটা সুইপ শট তো গোটা ম্যাচেই আলোড়ন ফেলে দেয়। সেই শটের পর আশুতোষ বলছেন, তার স্বপ্ন ছিল এই শট খেলা।
আরও পড়ুন-IPL 2024- লখনউয়ের অধিনায়ক, তবুও মন পড়ে বেঙ্গালুরুতে, জানালেন সুপ্ত ইচ্ছার কথা, ভিডিয়ো
আইপিএলের পার্পেল ক্যাপ হোল্ডার যশপ্রীত বুমরাহ। একটু অবাক বিষয় হলেও এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক যেমন লিগ টেবিলের সবার নিচে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি। তেমনই পার্পেল ক্যাপ অর্থাৎ এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেন হারের হ্যাটট্রিক সামলে ওঠা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যশপ্রীত বুমরাহ। সাতটি ম্যাচে তার ইকোনমি ৬-এর কম। আর উইকেট নিয়ে ফেলেছেন ১৩টা। অথচ এই মুম্বই দলের বিপক্ষেই আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল হায়দরাবাদ, যদিও পরে মুম্বইকে সেই লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দেয় বেঙ্গালুরু। পরিসংখ্যান বলছে এবারের আইপিএলে সাতটি ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচে মুম্বইয়ের বোলাররা দিয়েছে ২০০-র বেশি রান, অথচ সেই দলেরই বুমরাহ-র ইকোনমি ৫.৯৬। ফলে তাঁকে সুইপ মারার বিষয়টি যে আশুতোষের কাছে অনেকটাই স্বপ্নপূরণের মতো, তা আর বলতে বাকি রাখে না।
আরও পড়ুন-IPL 2024-স্নায়ুচাপের পরীক্ষা হয়েছে এই ম্যাচে, পঞ্জাব বধের পর বললেন হার্দিক পান্ডিয়া
আইপিএলের ম্যাচে বুমরাহ-র ইয়র্কার বলে সুইপ মারেন আশুতোষ। ছয় রান আসে। এরপরই চর্চা শুরু হয়ে যায় বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার বুমরাহকে তিনি এত সহজে মারলেন কিভাবে ওভারবাউন্ডারি? তাও আবার এরকম কঠিন বলে? ম্যাচ শেষে দলের হারে হতাশ হলেও মজার ছলেই আশুতোষ বলেন, ‘ আমি বহুদিন ধরে সুইপ শট প্র্যাকটিস করে আসছি। কিন্তু আজ আমি বিশ্বের সেরা বোলারের বলে মেরেছি, এটা আমার স্বপ্ন ছিল। তবে খেলায় এটা হয়েই যায়’।
উল্লেখ্য আশুতোষের বলে ছয় খেলেও বুমরাহ-ই মুম্বইকে ম্যাচ জেতান তা বলাই যায়। কারণ চার ওভারে তাঁর স্পেল থেকে আসে মাত্র ২১ রান, নেন ৩ উইকেট। বুমরাহ নিজের শেষ ওভার করতে আসেন ম্যাচের ১৭তম ওভারে। এর আগে পর্যন্ত ম্যাচে ৭টি ওভারবাউন্ডারি মারা আশুতোষ আর সাহস দেখাতে পারেননি বুমরাহর ইয়র্কারের সামনে শট খেলার ঝুঁকি নেওয়ার। ওভার থেকে আসে মাত্র ৩ রান। তাতেই চাপে পড়ে গিয়ে কোয়েটজির ওভারকে টার্গেট করতে গিয়ে পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হন আশুতোষ। শেষ পর্যন্ত ৯ রানে জেতে হার্দিকের দল। এভাবেই পঞ্জাব ত্রিকেটারের সুইপ শটের বদলা হিসেবে নিজের দলকে জিতিয়ে দেন বুমরাহ।