আইপিএলে কঠিন ম্যাচে জয় পেয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সহজ ম্যাচও কিভাবে কঠিন করে জিততে হয়, তাই দেখিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। পঞ্জাব দলের টপ অর্ডারের ৪ ক্রিকেটার, যাদের মধ্যে তিন জনই বিদেশী তাঁদের রান সংখ্যা ছিল ৬,০,১,১। অর্থাৎ স্যাম কারান ওপেন করতে এসে করেন ৬। প্রভসিমরন সিং করেন ০। রিলি রসউ করেন ১ এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার লিয়াম লিভিংস্টোন করেন মাত্র ১ রান। তার পরেও সেই ম্যাচ গড়ায় প্রায় শেষ ওভার পর্যন্ত। বুমরাহ নিজের শেষ ওভারে যদি কম রান না দিতেন, তাহলে মুম্বই হয়ত জিততেও পারত না। কারণ বুমরাহ-র ওভারে রান না হওয়ার কারণেই বাধ্য হয়ে তার পরের ওভারের প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন ম্যাচে দুরন্ত ক্যামিও খেলা আশুতোষ শর্মা। ম্যাচ শেষে আশুতোষের ইনিংসে প্রসংসা করেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক বলছেন, ‘তাঁর দলের ক্রিকেটারদের স্নায়ুচাপের পরীক্ষা দিতে হল’।
১৪ রানের মধ্যে চার উইকেট খোয়ালেও সেই পঞ্জাবই শেষ পর্যন্ত মুম্বই বোলারদের শাসন করে ১৮৩ রান তোলে। বিষয়টা নিয়ে স্রেফ স্নায়ুচাপ পরীক্ষা হল বলে মুম্বই অধিনায়ক ছেড়ে দিলেও আদতে যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিংয়ের কঙ্কালসাড় চেহারাটাই বেরিয়ে এসেছে তা বলাই বাহুল্য। যশপ্রীত বুমরাহ মাত্র ২১ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। একইসঙ্গে পার্পেল ক্যাপ হোল্ডারদের তালিকায় তিনিই সবার ওপরে। ম্যাচ জয়ের পর হার্দিক বলছেন, ‘ ম্যাচটা খুব ভালো হয়েছে। সকলের স্নায়ুচাপ ধরে রাখার পরীক্ষা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম যে এই ম্যাচে ক্রিকেটারদের চরিত্র বুঝতে পারব। কারণ সাধারনত এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই মনে করি,আমরা এগিয়ে আছি। কিন্তু আইপিএলে কঠিন পরিস্থিতি থেকেও ম্যাচ বের করে নেয় অনেক দল’।
পঞ্জাবের হয়ে দুরন্ত লড়াই দিয়েছিলেন আশুতোষ শর্মা, করেছিলেন ২৮ বলে ৬১ রান। জেরাল্ড কোয়েটজির বলে তাঁর আউটটাই কিংসদের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। এবারের আইপিএলে গুজরাটের বিপক্ষে ১৭ বলে ৩১ করেছিলেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৫ বলে ৩৩ রান। রাজস্থানের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১৬ বলে ৩১। এবার মুম্বইয়ের বিপক্ষে ২৮ বলে ৬১। দুই দলের অধিনায়কই প্রশংসায় ভরালেন মধ্য প্রদেশের এই ক্রিকেটারকে। হার্দিক বলেন, ‘ অবিশ্বাস্যভাবে খেলছিল আজ। সব কটা বলই ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলছিল। আমরা সেই নিয়েই টাইম আউটে কথা বলে স্ট্যাটেজি সাজিয়েছিলাম’।
আরও পড়ুন-IPL 2024-ভিডিয়ো- সল্টকে অনবদ্য কট অ্যান্ড বোল্ড আবেশের, তারপরেই সঞ্জুর ওপর নিলেন প্রতিশোধ!
পঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারান বলছেন, 'আরও একবার জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হারতে হল। পেসারদের বিরুদ্ধে যেভাবে আশুতোষ ব্যাটিং করছিল আর সুইপ মারছিল, তা দেখে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। দুজন যুব ক্রিকেটার(আশুতোষ এবং শশাঙ্ক সিং) যেভাবে পারফর্ম করে চলেছে, দেখে খুব ভালো লাগছে'।
আরও পড়ুন- ফের পাক জার্সিতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জেল খাটা আমির, ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে যাত্রা শুরু
ম্যাচের নায়ক বুমরাহ দলকে জিতিয়ে বলেন, তার টার্গেট ছিল প্রথম দিকেই উইকেট তোলা। কারণ শুরুর দিকে বল সুইং হয়। সেই মতোই তিনি নতুন বল পেতেই স্যাম কারান, রিলি রসউকে সাজঘরে ফেরান। এক দিক থেকে বুমরাহ চাপ তৈরি করায় পাল্টা সুবিধা হয় জেরাল্ড কোয়েটজির। তিনি প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে ছিলেন প্রভসিমরন সিংকে। বুমরাহর চাপ সৃষ্টি করার সুযোগে লিয়াম লিভিংস্টোনকেও দ্রুত আউট করেন তিনি। সোমবার রোহিতদের পরের ম্যাচ রাজস্থানের বিপক্ষে।