ক্যাপ্টেন তিলক বর্মা ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি। যদিও তা সত্ত্বেও ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে জয় তুলে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি হায়দরাবাদের। সৌজন্যে রবি তেজার রেকর্ড ভাঙা বোলিং পারফর্ম্যান্স।
বৃহস্পতিবার জয়পুরে মুস্তাক আলির এ-গ্রুপের ম্যাচে ছত্তিশগড়ের মুখোমুখি হয় হায়দরাবাদ। সেই ম্য়াচেই মহম্মদ সিরাজের রাজ্য দলের সতীর্থ রবি তেজা বল হাতে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বকালীন একটি রেকর্ড গড়েন।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ছত্তিশগড়। শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষমেশ ১৯.১ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় ছত্তিশগড়। ব্যাট হাতে দলের হয়ে একা লড়াই চালান শশাঙ্ক সিং। যদিও চোয়ালচাপা হাফ-সেঞ্চুরিতেও ছত্তিশগড়কে ১০০ রানের গণ্ডি পার করাতে পারেননি তিনি। শশাঙ্ক ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৭ বলে ৫১ রান করে আউট হন। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্কের রান বলতে অজয় মণ্ডলের ১০ ও গগনদীপ সিংয়ের ১৩। খাতা খুলতে পারেননি দলের তিনজন ব্যাটার।
আরও পড়ুন:- রোহিত-কোহলিদের নেই, বাংলাদেশ ম্যাচে গিলের জার্সিতে সোনালি ব্যাজ কেন? জেনে নিন কারণ
হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন রবি তেজা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ব্যক্তিগত বোলিং পারফর্ম্যান্স এটি। এক্ষেত্রে রবি ভেঙে দেন সার্ভিসেসের দীপক পুনিয়ার রেকর্ড। দীপক ২০১৫ সালে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ১৪ রানে ৬টি উইকেট দখল করেন।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স:-
১. রবি তেজা (হায়দরাবাদ)- ১৩ রানে ৬ উইকেট (বনাম ছত্তিশগড়, ২০২৩)।
২. দীপক পুনিয়া (সার্ভিসেস)- ১৪ রানে ৬ উইকেট (বনাম হরিয়ানা, ২০১৫)।
৩. স্বপ্নিল সিং (বরোদা)- ১৯ রানে ৬ উইকেট (বনাম সৌরাষ্ট্র, ২০১৫)।
৪. আর্জান নাগওয়াসওয়ালা (গুজরাট)- ১৯ রানে ৬ উইকেট (বনাম মহারাষ্ট্র, ২০২১)।
ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ১৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৪ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ। তিলক বর্মা ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন। রাহুল সিং ২৫, চন্দন সাহানি ২৫, তন্ময় আগরওয়াল ২১ ও রোহিত রায়াড়ু ১৪ রান করেন। ২টি উইকেট নেন অজয় মণ্ডল। শুভম আগরওয়াল দখল করেন ১টি উইকেট।