নিতান্ত খারাপ ফিল্ডিংয়ের মাঝে অনবদ্য ক্ষিপ্রতার উদাহরণ পেশ করলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। বুধবার জয়পুরে রাজস্থান ওপেনার জোস বাটলারের যে ক্যাচটি ধরেন তেওয়াটিয়া, তাকে এককথায় দুর্দান্ত বলা ছাড়া উপায় নেই। একনজরে দেখে নিতান্ত সহজ ক্যাচ মনে হওয়া স্বাভাবিক। তবে ক্রিকেটের সাধারণ জ্ঞান যাঁদের রয়েছে, বোঝেন যে, সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে এমন তৎপরতার সঙ্গে ক্যাচ ধরা কত কঠিন। সুতরাং, বাটলারকে আউট করার ক্ষেত্রে গুজরাট সমর্থকরা বোলার রশিদকে নাকি ফিল্ডার তেওয়াটিয়াকে বেশি কৃতিত্ব দেবেন, বুঝে ওঠা মুশকিল।
আরসিবির বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ধ্বংসাত্মক শতরান করে রাজস্থান রয়্যালসকে ম্যাচ জিতিয়েছেন জোস বাটলার। সুতরাং, ব্রিটিশ তারকা কতটা ভয়ঙ্কর ফর্মে রয়েছেন, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বাটলারকে সস্তায় না ফেরালে যে সমূহ বিপদ, সেটা অনুধাবন করতে অসুবিধা হয়নি টাইটানস দলনায়ক শুভমন গিলের। সেই কারণেই পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই রশিদ খানকে বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসেন শুভমন।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবার বল করতে এসেই টাইটানসকে সাফল্য এনে দেন রশিদ। ৫.৪ ওভারে রশিদের বলে জোরালো শট খেলার চেষ্টা করেন বাটলার। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বিদ্যুৎ গতিতে চলে যায় স্লিপ ফিল্ডার রাহুল তেওয়াটিয়ার কাছে। তেওয়াটিয়া অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ক্যাচ লুফে নেন। ফলে ১০ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় বাটলারকে।
তেওয়াটিয়া দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করলেও গুজরাট টাইটানসের ফিল্ডিং এদিন মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি। রশিদ বাটলারকে ফেরানোর ওভারেই সদ্য ক্রিজে আসা রিয়ান পরাগের উইকেট তুলে নিতে পারতেন। তবে ম্যাথিউ ওয়েডের ভুল উইকেট পাওয়া হয়নি তাঁর। ৫.৬ ওভারে রশিদের বল রিয়ানের ব্যাটের কানায় লাগে। তবে ক্যাচ ধরতে পারেননি ওয়েড। শূন্য রানে জীবনদান পান পরাগ।
৭.৫ ওভারে ফের রশিদের বলে রিয়ানের ক্যাচ ছাড়েন ওয়েড। এবারও রশিদের বলে ব্যাটের কানা লাগিয়ে বসেন রিয়ান। তবে বল দস্তানাবন্দি করতে পারেননি অজি কিপার। জোড়া ক্যাচ ছাড়ার পরেই ধারাভাষ্যকাররা স্পষ্ট দাবি করেন যে, গুজরাট ঋদ্ধিমান সাহার অভাব টের পাচ্ছে। দ্বিতীয়বার জীবনদান পাওয়ার সময় রিয়ান ব্যাট করছিলেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
৮.২ ওভারে রিয়ান নূর আহমেদের বলে ছক্কা হাঁকান। তবে এক্ষেত্রেও বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরার সুযোগ ছিল উমেশ যাদবের সামনে। সেবার বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে গেলে রিয়ানকে ব্যক্তিগত ৭ রানে সাজঘরে ফিরতে হতো। যদিও সে যাত্রাতেও বেঁচে যান তিনি। তিনবার জীবনদান পেয়ে রিয়ান পরাগ ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন।