'এসএ২০'তে বড় জয় পেল পার্ল রয়্যালস। রীতিমতো দাপটের সঙ্গে তারা হারালো প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসকে। ২৭ রানে ম্যাচ পকেটে তুলল ডেভিড মিলার ও তাঁর বাহিনী। সৌজন্যে অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াওর মারকুটে ব্যাটিং ও বিধ্বংসী বোলিং। তাঁকেই ঘোষণা করা হয় ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার। যদিও এদিন স্বয়ং অধিনায়ক নিজেও ঝড়ের গতিতে রান করেন। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক একই। প্রায় সকলেই তুলেছেন উইকেট এবং সফল হয়েছেন রান আটকাতে। সব মিলিয়ে, একটা নিখুঁত 'টিম গেম'এর চিত্র উঠে এসেছে ময়দান থেকে। অন্যদিকে একেবারেই দিশেহারা দেখায় প্রিটোরিয়ার ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগ। একেবারেই নড়বড়ে লাগছিল পার্লের বোলিং দাপটের সামনে। কেউই তেমন প্রভাবশালী ইনিংস খেলতে পারেনি ফিল সল্ট ছাড়া।
শুক্রবার, অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি, নিজেদের ঘরের মাঠে পার্ল রয়্যালস মুখোমুখি হয় প্রেটরিয়া ক্যাপিটালসের। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রিটোরিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে পার্ল করে ১৬০ রান। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক ডেভিড মিলার। এছাড়া শেষের দিকে মারকুটে ব্যাটিং আসে অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াওর থেকে। তিনি ১৪ বল খেলে করেন ২৮ রান।
প্রিটোরিয়ার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান ড্যারিন ডুপাভিলন ও করিন বশ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে প্রেটরিয়া ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৩ রান। দলের হয়ে একমাত্র ভালো ইনিংস আসে ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাট থেকে। তিনি ৩১ বল খেলে করেন ৩৯ রান। পার্লের বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পান এনগিডি, শামসি, ম্যাকয়ে ও লুব্বে এবং দুটি উইকেট তোলেন ফেলকওয়াও। তিনিই হন ম্যাচের সেরা।
প্রসঙ্গত, এদিন ম্যাচের সেরা হয়ে অ্যান্ডিল ফেলকওয়াও বলেছেন, 'বহুদিন ধরে ক্রিকেট থেকে বাইরে ছিলাম আজ অনেকদিন বাদে ফিরে এসে ম্যাচের সেরা হয়ে খুবই ভালো লাগছে। সত্যি বলতে আজ খেলতে নামার সময় খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। উইকেট প্রথমদিকে একেবারেই সহজ ছিলোনা আমাদের জন্য। তবে ডেভিড ও মিচের সেই পার্টনারশিপ আমাদের অনেক সাহায্য করেছে স্কোরবোর্ডে লড়াকু রান তুলতে। প্রতিদিন আমি নিজের খেলার উপর নজর দিতাম এবং চেষ্টা করতাম উন্নতি করার। আজ সেটার ফল পেয়েছি। সত্যিই আজকে খুব ভালো লাগছে। এবার আমাদের সকলের নজর আগামী ম্যাচের উপর।'