ভারতের হয়ে খেলেছেন মাত্র দুটি টেস্ট ম্যাচ। সেই সঙ্গে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা বোলিং বলতে চার উইকেট নেওয়া। দুর্দান্ত বোলিং করলেও আর সেই ভাবে সুযোগ পাননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপিয়ে খেললেও এবার কিছুটা হতাশ হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ঝাড়খণ্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিম। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও, ব্যাট এখনই তুলে রাখছেন না তিনি। বরং বাইরের দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে চাইছেন নাদিম। নিজেই এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার তাঁর স্বল্প হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছেন নাদিম। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেইভাবে পারফরম্যান্স করলেও তিনি একেবারেই জাতীয় দলের হয়ে সুযোগ পাননি। দুটি টেস্ট খেলা ছাড়া সাদা বলে তাঁকে দেখা যায়নি। এমনকী ভারতীয় স্কোয়াডে থাকলেও সেই ভাবে সুযোগ পাননি তিনি। শুধু ভারতীয় দলেই নয়, আইপিএলেও বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন নাদিম। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটাল), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং লখনউ সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্যের এই ক্রিকেটার।
আইপিএলে কম বেশি ভালো পারফরম্যান্স করলেও ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা আর হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে লড়াই চালিয়ে গেলেও তিনি হতাশ হয়েছেন। তাই বাধ্য হয়েই এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন তিনি। বিদায় বেলায় তিনি জানিয়েছেন, 'আমি দীর্ঘ কেরিয়ারকে বিদায় জানাচ্ছি। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকেই আমি অবসর নিচ্ছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, সেই সঙ্গে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করারও সুযোগ পেয়েছি। এটাই সেই সময় নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। আমি সবসময় মনে করি, যখন আপনার কোনো অনুপ্রেরণা থাকে, তখন আপনি সবসময় নিজেকে ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে ফেরা আর সম্ভব নয়। তার চেয়ে ভালো নতুনদের সুযোগ করে দেওয়া। সেই জন্যই আমি ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমি বিদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি লিগগুলিতে খেলতে চাই।'
২০১৯ সালের অক্টোবরে রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলেন তিনি। যেখানে তিনি নিয়েছিলেন চার উইকেট। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেন তিনি। সেটাই নাদিমের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ টেস্ট ম্যাচ। অবসর নিয়ে নাদিম বলেন, 'আমি সব সময় বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। আমি ২০ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলছি। যদিও আমরা রঞ্জি ট্রফি জিততে পারিনি। রঞ্জি বা বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টের নকআউট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে যে এখন আমার এই কাজটি তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত এবং আমি নিশ্চিত যে তারা আগামী সময়ে আমাদের দলের জন্য বড় ট্রফি জিতবে।'