এখন এশিয়া কাপ নিয়ে ব্যস্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জিতেছে তারা। এবারও এশিয়া কাপ দখলে রাখার লড়াই চালাচ্ছে লঙ্কা বাহিনী। তার মাঝেই বড় ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবার তারা ঘোষণা করেছে লঙ্কান বোর্ড পরিচালিত সব ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বন্ধ করতে চলেছে তারা। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পরিকাঠামোগত জন্য কিছু বিরোধ দেখা যায় বোর্ডে সেই পরিপেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ঘরোয়া টুর্নামেন্ট গুলির পূর্ণ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় বিরোধ দেখা যায় বোর্ডের অন্তরে। অরবিন্দ ডি সিলভার নেতৃত্বে প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটি এই পরিকল্পনাটি সুপারিশ করে ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। সেই রিপোর্টে দ্বিস্তরীয় পরিকাঠামো তুলে নিয়ে তার পরিবর্তে ১৬ টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। এই সুপারিশ আসতেই ঝামেলা শুরু হয় শ্রীলঙ্কান বোর্ডে। তা থেকেই শুক্রবার নতুন সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, 'শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড তাদের দ্বারা পরিচালিত সব ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলমান মেজর ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট এবং আমন্ত্রণমূলক ক্লাব টিয়ার ‘বি’ তিন দিনের টুর্নামেন্টও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল ২৬টি দল নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের সবচেয়ে নিচে থাকা মোট চারটি দলের অবনমন ঘটবে দুই বছরের জন্য। তিনটি দল আবার তৃতীয় ডিভিশনে নেমে যাবে। এর ফলে শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়র ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ১৫টি দল খেলবে। যার ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের মানের অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করা হয়। অবনমন হওয়া দলগুলো তিন দিনের টুর্নামেন্টে আর অংশগ্রহণ করতে পারবে না তার পরিবর্তে তারা গভর্নর ট্রফি খেলবে। এর ফলে অবনমনকারী দলগুলি এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তারা জানায় এর ফলে ক্রিকেটের মান আরও কমে যাবে।
১৭ জুন এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে এসএলসি একটি জরুরী সাধারণ সভার বৈঠক ডাকে। সদস্যদের মধ্যে একটি ভোটাভুটি প্রক্রিয়া চলে। সেখানে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি ক্রিকেট ক্লাব শ্রীলঙ্কার আদালতে আবেদন করে। তখন ঠিক করা হয় এই মামলার রায় আশা না পর্যন্ত টুর্নামেন্টগুলি যেমন চলছে তেমন চলতে দেওয়া হবে। ঘটনা গড়ায় শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত। এর পরে ক্রীড়া মহাপরিচালক ২৫ আগস্ট শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডকে একটি চিঠি দিয়ে জানায় যে একটি টুর্নামেন্টের কাঠামো পরিবর্তন করার যে কোনও পদক্ষেপ শুধুমাত্র ক্রিকেট বোর্ডের-এর সংবিধানে পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটতে পারে। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী বোর্ড এর নিয়ম পরিবর্তন করতে গেলে ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। এসএলসি তাদের পক্ষ থেকে দাবি করেছে যে তারা ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তারা কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা ইএসপিএন ক্রিক ইনফোকে বলেন, 'যতক্ষণ না পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ার সঠিক সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ এই লিগগুলো বন্ধ থাকবে।'