পাকিস্তানের হারের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংকে নেটিজেনরা টার্গেট করেছিল। এবার আবারও নিজের পোস্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় তুলেছেন টার্বানেটর। আসলে, যে পোস্টের জন্য তাকে ট্রোল করা হয়েছিল সেই পোস্টে হরভজনের নতুন বিবৃতি এসেছে। ভাজ্জি তার পোস্টে আম্পায়ারিং, ডিআরএস এবং আম্পায়ারের কলের মতো বিষয়গুলিকে পাকিস্তানের পরাজয়ের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেছিলেন।
পুরো ব্যাপারটা কী?
এই পোস্টে যখন হরভজন সিংকে টার্গেট করা হচ্ছিল, একই পোস্টের মন্তব্য বিভাগে নাসের হুসেনের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিয়োতে, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিরাট কোহলির একটি উইকেটের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় আম্পায়ারের কলকে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই ভিডিয়োর উত্তরে বিরাট কোহলির কথা উল্লেখ করে একটি বড় বক্তব্য দিয়েছিলেন হরভজন সিং।
ভাজ্জি তার উত্তরে লিখেছেন, ‘প্রযুক্তি সঠিক দেখানোর জন্য তারা বেতন পায়।’ তিনি বলছেন, ‘টেক সঠিক আর বিরাট ভুল। কারণ প্রযুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেখানোর জন্য সম্প্রচারকারীদের অর্থ প্রদান করা হয়। আর হ্যা টেক যদি ঠিক থাকে তাহলে টেক দিয়ে যাবেন তাহলে আম্পায়ার রাখবেন কেন। এটা একেবারেই বাজে কথা, প্রযুক্তি বা আম্পায়ার একটা জিনিস ব্যবহার করুন। যারা এই গেমটিকে অন্ধভাবে ভালোবাসেন তাদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না।’
বিতর্ক কীভাবে শুরু হয়েছিল?
পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়েই এই বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে হ্যারিস রউফের ওভারের শেষ মুহূর্তে মাঠের আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় থার্ড আম্পায়ারের কাছে যান এবং ডিআরএস-এর সিদ্ধান্ত নেন। তবে আম্পায়ারের কলের জন্য রক্ষা পান তাবরেজ শামসি। এমন অবস্থায় এক উইকেটে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা যেত। কিন্তু সেই উইকেট পাওয়া যায়নি এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরে যায় পাকিস্তান দল। এই বিষয়ে, হরভজন পাকিস্তানের পরাজয়ের কারণ হিসাবে আম্পায়ারের কল ও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছিলেন। পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য তাঁকে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল।
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক শাদাব খানের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান দলের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার উমর গুল। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন বোলার মনে করেন যে চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে নাটক করেছিলেন শাদাব খান। গুলের মতে, শাদাবের চোট এতটা গুরুতর ছিল না যে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শাদাব খান। শাদাবকে আবার খেলার মতো অবস্থায় না পাওয়ায় উসামা মীরকে পাকিস্তান দলের টিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবং শাদাবের জায়গায় মাঠে নামেন উসামা মীর। তবে পরে পাকিস্তানের দলের পারফরমেন্স যখন ভালো হয়েছিল তখন মাঠের ডাগআউটে শাদাবকে দেখা গিয়েছিল। এরপরেই প্রশ্ন তুলেছেন উমর গুল।