ক্রিকেট মানেই শেষ বলের খেলা। এই বিশ্বকাপে তার পরিষ্কার প্রমাণ দিয়েছে আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। তবে এই অঘটন বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার ঘটেছে ক্রিকেট বিশ্বের বৃহত্তম মঞ্চে দুর্ঘটনা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অঘটন হলো ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের পাকিস্তানকে হারানো, ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার শ্রীলঙ্কাকে হারানো , ২০০৭ সালে বাংলাদেশের ভারতকে হারানো, আয়ারল্যান্ডের পাকিস্তানকে হারানো এবং একই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। এছাড়াও রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বড় অঘটনটি ঘটিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ২০১১ সালের ঘটনা। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের তৈরি করা বড় রানের লক্ষ্য বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে জিতে নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে এই বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচ হাতে চলেছে সেই ময়দানে যেখানে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ঘটেছিল বড়ো অঘটন।
কি সেই অঘটন? তার আগে বলে রাখা ভালো, ওই অঘটনের পর সেই মাঠে খেলা হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি ম্যাচ। এবার সেই গ্রাউন্ড ২৭ বছর পর একটি বিশ্বকাপের ম্যাচ পেয়েছে। এখানে কথা বলা হচ্ছে পুণের সেই ময়দানের যেখানে কেনিয়ার মতো এক দুর্বল দল পরাজিত করেছিল দুবারের বিশ্বজয়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কেনিয়া। জবাবে রান তারা করতে নেবে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এটা সেই ম্যাচ যেটা ক্রিকেটে অঘটন কি জিনিস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এই ম্যাচকে ঘিরে সমস্ত স্মৃতি নিয়ে মন্তব্য পেশ করে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য তারা আশাই করতে পারেননি যে কেনিয়ার মতো একটি দল সেই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত এক শক্তিশালী দলকে হারাতে পারবে। এবার এই পুণেতেই আগামীকাল মুখোমুখি হবে ভারত ও বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থানে এবং চালকের আসনে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচের পর বাকি ম্যাচগুলি হেরেছে শাকিব আল হাসান বাহিনী। সুতরাং মানসিকভাবে একটা চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগ ভালো খেলা দেখানোয় আত্মবিশ্বাস ভর্তি টিম ইন্ডিয়া শিবিরে। এবার দেখার বিষয় অঘটন হওয়া ময়দানে ফের কোনও অঘটন ঘটে কিনা। তবে শেষ হাসি ফুটবে কার মুখে, সব উত্তর পাওয়া যাবে বৃহস্পতিবার।