পাকিস্তানের ব্যাটিং হিরো মহম্মদ রিজওয়ান বলেছেন যে, তাঁর দল হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার লঙ্কার করা ৩৪৪ রানের জবাবে ছয় উইকেটে বড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান।
রিজওয়ান নিজে অপরাজিত ১৩১ রান করেন। এবং ওপেনার আবদুল্লা শফিককে (১১৩) সঙ্গে নিয়ে ১০ বল বাকি থাকতে ৩৪৫ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জেতান। ১৪ অক্টোবর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে এই একই পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রিজওয়ান।
শনিবার আমদাবাদে হাই-প্রোফাইল সংঘর্ষ নিয়ে রিজওয়ান বলেছেন, ‘আমাদের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে এবং এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে এবং আমরা একই পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামব।’ সঙ্গে রিজওয়ান আরও বলেছেন, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশাল রান তাড়া করার সময়ে তাদের চাবিকাঠি ছিল নিজেদের প্রতি বিশ্বাস।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত উইকেটে ৩২৯ রান করে ম্যাচ জিতেছিল আয়ারল্যান্ড। সেটা এতদিন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল। সেই রেকর্ড মঙ্গলবার ভেঙে দেয় পাকিস্তান। এর পর রিজওয়ান বলেন, ‘এই রান তাড়া করে জেতার বিষয়ে আমরা আত্মিশ্বাসী ছিলাম।’
শফিকের নক এবং তৃতীয় উইকেটে ১৭৬ রানের তার সঙ্গে পার্টনারশিপেরও প্রশংসা করেন রিজওয়ান। তিনি বলেছেন, ‘শফিক খুব ভালো খেলেছে এবং যখন বোর্ডে ৩৪৫ রানের টার্গেট থাকে, তখন ওপেনার হিসাবে একটা বাড়তি চাপ থাকেই এবং ও সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।’
শেষ ২০ ওভারে ১৬৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। সেই রান তাড়া করা নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছিলেন, সে কথাও ফাঁস করলেন রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ব্যাটিং সহায়ক পিচ ছিল। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, বোর্ডের দিকে তাকাব না এবং ২০ ওভারের টার্গেট নেব এবং সেই রানটাও করেছি। শফিক ইনিংসটি গড়েছিল এবং এটি ও এই রান তাড়া করে জয় পাওয়াটা সহজ করে দিয়েছিল।’
হায়দরাবাদে খেলে কেমন লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজওয়ান বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমার মতো মনে হচ্ছিল যে পিণ্ডিতে (রাওয়ালপিণ্ডি) ম্যাচ খেলছি। আজ হায়দরাবাদের দর্শকরা যে ভাবে আমাদের প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন, (তা অভাবনীয়)। শুধু আমায় নয়, পুরো পাকিস্তান দলকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।’