তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দল লিগ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেমিফাইনালে উঠেছিল। তবে ১৬ নভেম্বর খেলা দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ উইকেটে হারতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রা শেষ হয়েছে। এ দিনের হারের পর খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা। ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা আগেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর হতাশ দেখাচ্ছিন ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমাকে। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি আগেই ম্যাচ হেরে গিয়েছেন। বাভুমা বলেন, ‘এই হারের হতাশাটা কথায় বলে বোঝানো যাবে না। প্রথমেই অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানাই। ফাইনালের জন্য তাদের শুভ কামনা। তারা আজ খুব ভালো খেলেছে। আমরা অনেক নমনীয়তা দেখিয়েছি। ব্যাট-বল নিয়ে আমরা যেভাবে শুরু করেছি তা হতাশাজনক ছিল, সেখানেই আমরা হেরেগিয়েছিলাম। মিলার এবং ক্লাসেনের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। আমাদের সুযোগ ছিল, কঠিন সুযোগ আমরা মিস করেছি, যদি আমরা সেটা ধরে রাখতাম তবে এটি আরও কিছুটা কাছাকাছি হতে পারত। কুইন্টন হয়তো অন্যভাবে তার ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলেন। এই ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় সে তার সময়টা মনে রাখবে। তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের গ্রেটদের মধ্যে গণ্য করা হবে।’
এ দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল খুবই খারাপ। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৩ রান করেন, অধিনায়ক বাভুমা শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ডেভিড মিলার। ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া দল তিন উইকেটে ম্য়াচটি জিতে নেয়। তবে তাদের এই জয়ের জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ৪৭.২ ওভারে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ট্র্যাভিস হেড করেন ৬২ রান, ডেভিড ওয়ার্নার ২৯ রানের ইনিংস খেলেন।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ২১২ রান করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। যেখানে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৯.৪ ওভারে ৫১ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কোয়েটজি ২ উইকেট নেন এবং তাবরেবাজ শামসিও নেন ২টি উইকেট।