বিশ্ব ক্রিকেটের 'লিটিল মাস্টার' বা 'মাস্টার ব্লাস্টার' সচিন তেন্ডুলকরের অবদান চরম। সে একদিনের ক্রিকেট হোক কিংবা টেস্ট ক্রিকেট, সবেতেই তিনি করে গিয়েছেন দুই দশক ধরে রাজত্ব। এক সময় বিশ্বজয়ী দলগুলি বড় বড় বোলাররা সচিনকে বল করতে ভয় পেতেন। ক্রিকেটের ইতিহাসে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের পরে তিনিই সেরা ব্যাটার। টেস্ট ক্রিকেট ও একদিন ক্রিকেট মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি রান। এবার এক সময়ের ক্রিকেটের রাজাকে সম্মান জানাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)।
এবার 'গড অফ ক্রিকেট'এর মূর্তি বসতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম পীঠস্থানে, অর্থাৎ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। জানা গিয়েছে, মূর্তিটি হবে ২০ ফুট লম্বা। এই বিষয়ে এক সূত্র জানিয়েছে, 'এই মূর্তিটি সচিন তেন্ডুলকর এবং বিজয় মার্চেন্ট স্ট্যান্ডের মধ্যে স্থাপন করা হতে পারে। বিশ্বকাপের কোনও একটি খেলার আগে খুব বড় কোনও মন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন এই মূর্তিটি।'
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে এই মূর্তিটি বসানোর কথা জানিয়েছিলেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) সভাপতি অমোল কালে। তিনি বলেছিলেন, 'ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে এই প্রথম কোনও ক্রিকেটারের মূর্তি বসতে চলেছে। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় এই মূর্তি উন্মোচন করা হবে। এমসিএ লাউঞ্জে গোল পাটাতনের ওপর বসানো থাকবে মাস্টার ব্লাস্টারের পূর্ণাবয়াব মূর্তি।'
উল্লেখ্য, এই কিংবদন্তির কাছেও তাঁর হোম গ্রাউন্ড অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর মূর্তি বসানোর কথা শুনে অত্যন্ত খুশি তিনি। এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি বলেন, 'আমার এখনও মনে আছে ১৯৯৮ সালে এই মাঠেই সবটা শুরু হয়েছিল। এই দিনটা যে আমার জীবনে কখনো আসবে আমি কখনও ভাবতে পারিনি। আমার কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। ওই জয় চিরকাল আমার মনে থাকবে। ছোটবেলায় আর্চরেকর স্যার এই মাঠে নিয়ে এসেছিলেন, তারপর থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছিলাম। এই মাঠে একাধিক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমার।'
এই বিষয়ে সচিন তেন্ডুলকর আরও জানিয়েছিলেন, 'নিজেকে এখনও ২৫ বছরেরই মনে হয়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ব্যক্তিগতভাবে, দলগতভাবে আমার কাছে বরাবরই বিশেষ একটা জায়গা। এমসিএ আমার জন্য যেই ব্যবস্থা করেছে তা শুনে আমি অত্যন্ত খুশি। আজ এমসিএ-র তরফে আমাকে ডাকা হয়েছিল মূর্তিটি নিয়ে আলোচনা করতে। তা ছাড়া এটা কোথায় বসানো হবে তা দেখানোর জন্যও।'