তিন ম্যাচে তিনটি জয়। আইপিএল মরশুমের শুরুতে এমন ছবি আগে কখনও দেখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেদিক থেকে দেখলে কেকেআরের আইপিএল ২০২৪-এর শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছে বলা যায়। যদিও ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার দলের এমন প্রাথমিক সাফল্যে আহ্লাদে আটখানা হতে রাজি নন। বরং মাটিতে পা রেখে চলতে চাইছেন নাইট দলনায়ক। ভাইজ্যাগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয়ের পরে শ্রেয়স স্পষ্ট জানান সে কথা।
স্কোরবোর্ডে ২৭২ রান তোলা নিয়ে শ্রেয়সের প্রতিক্রিয়া:-
কখনই ভাবিনি এত রান উঠবে। যেভাবে আমরা ইনিংস শুরু করি, তাতে ২১০-২২০ রান উঠতে পারে বলে মনে হয়েছিল। ২৭০ তোলাটা বাড়তি পাওনা। টসের সময়েই বলেছিলাম যে সানির (সুনীল নারিন) কাজ ব্যাট চালানো। ইনিংসের শুরুটা ভালো করে দেওয়াই ওর কাজ। যদি ও ব্যর্থ হয়, তাতেও অসুবিধা নেই। আমাদের অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। পরিকল্পনা ছিল এটাই।
নবাগত অংকৃষ রঘুবংশীর হাফ-সেঞ্চুরি নিয়ে শ্রেয়সের মতামত:-
প্রথম বল থেকেই ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছে। ওর ক্রিকেট দর্শন অনবদ্য। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে ওর। অত্যন্ত চতুর ব্যাটসম্যান। রঘুবংশী যে সব শট খেলছিল, দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন:- KKR-এর হয়ে IPL-এ সব থেকে বেশি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, রাসেলের রেকর্ড ছুঁলেন নারিন
বোলারদের পারফর্ম্যান্স ও হর্ষিত রানার চোট সম্পর্কে শ্রেয়সের মন্তব্য:-
দেখে ভালো লাগছে যে, যথা সময়ে বোলাররা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করছে। নিজেদের সাফল্যে ওরা একে অপরকে সাহায্য করছে এবং সুযোগ যথাযথ কাজে লাগাচ্ছে। গত কয়েকটা ম্যাচ ধরেই আমরা এটা দেখে আসছি। হর্ষিতের চোট নিয়ে সঠিক কিছু জানি না। মাঠে ওকে কাঁধে হাত চেপে থাকতে দেখেছিলাম। দেখতে হবে চোট গুরুতর কিনা।
পরপর তিনটি জয় নিয়ে শ্রেয়সের প্রতিক্রিয়া:-
আপনাকে সর্বদা মাটিতে পা রেখে চলতে হবে। বিশেষ করে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই।
দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কেকেআর ম্যাচের ফলাফল:-
ভাইজ্যাগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলগত ইনিংসের রেকর্ড। পালটা ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭.২ ওভারে ১৬৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসে কলকাতা নাইট রাইডার্স।