শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু বুথে ব্যালট পেপার ও বাক্স চুরি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই সেই সমস্ত বুথগুলিতে আজ সোমবার পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এদিন কমবেশি সমস্ত বুথেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পুনর্নির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল। চোখের কোনও সমস্যা নেই। অথচ এক মহিলাকে দৃষ্টিহীন সাজিয়ে জোর করে ভোটদানের অভিযোগ উঠল। পুনর্নির্বাচনের দিনেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের সালারের প্রসাদপুর গ্রামে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বুথ চত্বরে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত হিংসায় হতাহতদের নিয়ে রাজ্যকে বড় নির্দেশ হাই কোর্টের
স্থানীয়দের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকাকে অমান্য করে ওই বুথের ভিতরে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে সেখানে দেদার চলছে ছাপ্পা ভোট। গ্রামেরই এক মহিলাকে দৃষ্টিহীন সাজিয়ে ভোট দিয়ে নেয় তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুনর্নির্বাচনের আগের রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটারদের হুমকি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে এসেছে। এমনকী ভাঙচুরও চালিয়েছে। তাদের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলকে ভোট না দিলে খুন করে দেওয়া হবে। এই হুমকির জেরে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ফলে এদিন পুনর্নির্বাচনে সকাল থেকে খুব বেশি ভোটারকে দেখা যায়নি। সকাল ১১ টার পরেও বুথে হাতে গোনা কয়েকজন ভোটারকে দেখা যায়।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বটতলা এলাকায় পুনর্নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে। ২২৮ নম্বর বুথে বোমাবাজির খবর পেয়েই পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয়। এই অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এছাড়াও, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে পুনর্নির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের দীঘরা মালিক বেরিয়া সলেমানপুর ৭৩ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ভোটকেন্দ্রে বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা আর ভেতরে রয়েছে রাজ্য পুলিশ।
অন্যদিকে, এই জেলার শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত তেলনি পাড়া হাই স্কুলেভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন কয়েকটি বাইকে করে কয়েকজন বহিরাগত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র এলাকায় আসে। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ তাদের আটকায়। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুজন বাইক আরোহীকে আটক করে পুলিশ। যদিও তাদেরকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।