হাতে আর বাকি মাত্র একসপ্তাহ। তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৮ জুলাই গ্রামবাংলায় হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর আজ, শনিবার পয়লা জুলাই নতুন করে মাওবাদী পোস্টার পড়ল জঙ্গলমহলে। আজ, শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার শিমূলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি জায়গা থেকে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুতরাং নির্বাচনের দিন মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জঙ্গলমহল জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন আগেও পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় এই ধরনের পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে এখনও তদন্ত করছে পুলিশ। তার মধ্যেই এবার বেলপাহাড়িতে মিলল মাওবাদী পোস্টার। মাওবাদীদের নাম করে পোস্টারগুলি পড়লেও পুলিশের অনুমান, পোস্টারগুলি মাওবাদীদের নয়। তাহলে পোস্টারগুলি কারা দিয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন যে পোস্টারগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি সাদা কাগজের উপর লাল কালি দিয়ে লেখা। আর লেখা আছে— ‘নেতাদের মাথা চাই’। তার নীচে লেখা ‘মাওবাদী’। মাওবাদীদের নাম করে ওই পোস্টার দেওয়া হলেও মাওবাদীদের কোনও ভূমিকা নেই বলে মনে করছে পুলিশ।
অন্যদিকে বেলপাহাড়ির এই ঘটনায় মনে করা হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আতঙ্ক তৈরি করতেই এই কাজ করা হয়েছে। একদিকে সাধারণ মানুষ অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের ভয় দেখাতেই এই পোস্টার পড়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। তবে এটা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। এদিন বেলপাহাড়ি থানার শিমূলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের যে তিনটি জায়গা থেকে পোস্টার উদ্ধার হয়েছে সেগুলি হল— ঠাকুরানপাহাড়ি, ওদলচুয়া এবং ওদলচুয়া থেকে ঢাঙ্গিকুসুম যাওয়ার পথে কালভার্টের ওপর পাওয়া গিয়েছে মাওবাদী পোস্টার। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে হঠাতে বিরোধ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’, টুইট বার্তা দিলেন ডেরেক
আর কী জানা যাচ্ছে? এই মাওবাদী পোস্টার নিয়ে জঙ্গলমহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও উত্তম গড়াই সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে বেলপাহাড়িতে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।’ তবে গত ২০ জুন জামবনি থানার অন্তর্গত চিল্কিগড় এলাকার কনক দুর্গামন্দিরে ঢোকার মুখে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তার পর আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এমন পোস্টার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।