আজ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনারকে তুলোধনা করেছেন। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দু’দিন আগে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার পিস কনফারেন্সের আয়োজন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই রাজ্যপাল তুলোধনা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তবে এবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি নানা কথা তুলে ধরেন। সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী–সুকান্ত মজুমদার–দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। একশো দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাসের টাকা আটকে রাখা নিয়ে বিজেপি নেতাদের তুলোধনা করেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে তথ্য–পরিসংখ্যান আনতে বলেন। আর তখনই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেক ভরা প্রেস ক্লাবে বলেন, ‘বিজেপির লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে। বাংলার মানুষের সঙ্গে তো নয়। তাহলে একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়া হয়নি কেন? উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডার রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ওখানে কাদের সরকার? ওরা টাকা পেলে আমরা পাবো না কেন? জনস্বার্থ মামলা করুন কলকাতা হাইকোর্টে। তাহলেই তো বেরিয়ে যাবে কারা ঠিক কথা বলছে। মনরেগা আইন মানছে না কেন্দ্রীয় সরকার।’
এদিকে সুকান্ত মজুমদাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে অভিষেক বলেন, ‘১০ পয়সাও পাঠায়নি। হিম্মত থাকলে এখানে এসে নথি দেখাক। আমরাও দেখাচ্ছি। তাহলেই বোঝা যাবে কারা ঠিক বলছে। বিজেপির জনবিরোধী সরকার টাকা আটকে রেখেছে। একুশের নির্বাচনে হেরে যেতেই এই প্রতিশোধ। সুকান্ত–দিলীপ শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হিম্মত থাকলে মুখোমুখি বসুন। আর রাজ্যপালকে দেখেছেন কখনও একশো দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে? তিনি তো নিজেকে সংবিধানের রক্ষাকর্তা বলে নিজেকে দাবি করেন। সংবিধানে তো মনরেগা আইনের কথা বলা আছে। আসলে উনি নিজেকে নিরপেক্ষ দেখাতে চাইলেও নিরপেক্ষ নন।’
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এল বড় সুখবর, কাকদ্বীপ থেকে সাগর জালে উঠল বিপুল ইলিশ
অন্যদিকে রাজ্যপাল আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তাক করে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আপনাকে সব ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও হিংসা হচ্ছে, রক্ত ঝরছে, প্রাণহানি হচ্ছে। বাংলার পরিস্থিতি দেখলে শেক্সপিয়রও বলতেন, নরকে শূন্য, সব শয়তান এখানে।’ আপনি ঠিক কী বলছেন? অভিষেকের কথায়, ‘রাজ্যপাল রাজনীতির ফায়দা তুলতে চাইছে। নয়াদিল্লির নির্দেশ পালন করছেন। ওখান থেকে যেমন বলা হচ্ছে উনি তেমন করছেন। তাছাড়া আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নই। তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না। শুধু এটুকু বলতে পারি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৮০ জন মারা গিয়েছিলেন। একজনের বাড়িতেও উনি গিয়েছিলেন! মণিপুর তো জ্বলছে। ওনার উচিত একজন সচেতন মানুষ হিসাবে ওখানে যাওয়া। কেন্দ্রীয় সরকার ওনাকে যাওয়ার অনুমতি দিক। এটাই চাইব।’