তেলাঙ্গানার কাগজে সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকার। তার জেরে এবার ওই সরকারের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিজেপি ও ভারত রাষ্ট্র সমিতি অভিযোগ জানিয়েছে যে কর্ণাটক সরকার একাধিক সংবাদপত্রের হায়দরাবাদ এডিশনে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কমিশন দেখেছে এক্ষেত্রে তারা কোনও ছাড়পত্রও দেয়নি। আবার কোনও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা বকেয়া রয়েছে এমনটাও নয়।
কমিশন জানিয়েছে, তেলাঙ্গানাতে ভোটের পরিবেশ আর সেখানকার কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। তাদের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞাপনে। এটা কমিশনের নিয়ম ভঙ্গের সমান।
এদিকে কমিশন কর্ণাটক সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিল। নির্বাচন কমিশন কর্ণাটক সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে তেলাঙ্গানাতে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কেন ওই রাজ্যের তথ্য় ও জনসংযোগ দফতরের সচিবের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
তবে এক্ষেত্রেই শুধু নয়। অন্য় একটি ক্ষেত্রেও তেলাঙ্গানাতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ভোটের মধ্যে ঋতূ বন্ধু স্কিম নিয়ে ঢালাও প্রচারের অভিযোগ তেলাঙ্গানায়। ভারতের নির্বাচন কমিশন ভারত রাষ্ট্র সমিতি পরিচালিত তেলাঙ্গানা সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যাতে ঋতূ বন্ধু স্কিমের আওতায় কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। কারণ আদর্শ আচরণ বিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এখনও লাগু করা আছে। সেই আচরণবিধি না তোলা পর্যন্ত যেন এই ধরনের বিতরণ বন্ধ করা থাকে তারই নির্দেশ।
২০১৮ সালে কমিশন বিধানসভা ভোটের আগে ঋতূ বন্ধু স্কিমের বণ্টনের ব্য়াপারে অনুমোদন দিয়েছিল। তবে এখানে একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। যেমন এই স্কিম নিয়ে কোনও প্রচার করা যাবে না, কোনও সভা সমিতি করা যাবে না, নতুন করে কোনও উপভোক্তাকে এই স্কিমের আওতায় আনা যাবে না। চেক বিলি না করে অনলাইনে উপভোক্তাদের কাছে অর্থ পৌঁছে দিতে হবে।
কিন্তু সেই শর্ত না মেনেই ভোটের মধ্য়েই তেলাঙ্গানায় এনিয়ে প্রচারের অভিযোগ।